ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গণপিটুনির কারণ খতিয়ে দেখা হবে: আইনমন্ত্রী

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
গণপিটুনির কারণ খতিয়ে দেখা হবে: আইনমন্ত্রী বক্তব্য রাখছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক

ঢাকা: ঘনঘন অগ্নিকাণ্ড, ধর্ষণ ও গণপিটুনির ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি একথা বলেন।

রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতিসংঘ নির্যাতনবিরোধী কনভেনশন (ইউএনসিএটি) বিষয়ে সিভিল সোসাইটির সঙ্গে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আইনমন্ত্রী।

 

আইন মন্ত্রণলায় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ড, ধর্ষণ ও গণপিটুনির ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হবে।  

এ বিষয়ে তিনি বলেন, যে কোনো ঘটনার একটা স্বাভাবিকতা আছে আর একটা অস্বাভাবিকতা আছে। আপনারা যদি আগুন লাগার ঘটনা দেখেন তাহলে দেখবেন, এটা কন্টিনিউয়াস ঘটতে থাকলো। তারপর ধর্ষণের ঘটনা কন্টিনিউয়াস ঘটতে থাকলো। এখন গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। একটি-দুটি দুর্ঘটনা হলে ঠিক আছে। পরিসংখ্যান বলে ১১-১২টি হয়েছে। এখানে এটা অস্বাভাবিক।

আনিসুল হক বলেন, আমি এই জিনিসটা বলতে চাই, যেখানে গত বছরে একটিও গণপিটুনির ঘটনা নেই, সেখানে হঠাৎ এক মাসে সাত দিনের মধ্যে ১১টা গণপিটুনির ঘটনা ঘটে গেলো। তার মানে হচ্ছে এখানে যেটা আমরা তদন্ত করতে চাচ্ছি, সেটা আমরা এত বলতে চাচ্ছি না। কিন্তু  আমি যেটা বলেছি, সেটা হচ্ছে এই অ্যাংগেলেও আমরা তদন্ত করবো।

আইনমন্ত্রী বলেন, যদি আগুন লাগে তাহলে ৫-৭টি ঘটনা একসঙ্গে হয়ে যায়। যদি ধর্ষণ হয় তাহলে ১০-১৫টি ঘটনা একসঙ্গে হয়ে যায়। এটি কি প্রো-অ্যাকটিভনেস অব দ্য মিডিয়া? তাতো না। ঘটনা হচ্ছে বলেই মিডিয়া কিন্তু রিপোর্ট করে।  

তিনি বলেন, কাউকে পেটানো সেটা গণ হোক, ব্যক্তি হোক, সেটা একটি অপরাধ।  

গণপিটুনির ঘটনায় যাদের ধরা হচ্ছে তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এদের বিচারের আওতায় আনা হবে। দেশের প্রচলিত আইনে যে বিচার তাদের হওয়া উচিত সেই বিচার হবে। দেশে যথেষ্ঠ ভালো আইন আছে। এগুলিতে এসব অপরাধে ফেলতে হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, দেশে বিচারবর্হিভূত হত্যা কমেছে। একটিও যাতে বিচারবহির্ভূত হত্যা না হয়, আমরা সে দিকেই অগ্রসর হচ্ছি। নির্যাতন বন্ধে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে নির্যাতন কমেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম জাতিসংঘে নির্যাতনবিরোধী প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, দেশের যেখানেই অপরাধ হচ্ছে সেখানেই তা রুখে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ধর্ষণ বা অন্যান্য নির্যাতন বন্ধ করার জন্য সরকার অনেক চেষ্টা করছে। মাদক নির্মূলের জন্যও চেষ্টা করা হচ্ছে।  

মন্ত্রী বলেন, এসিড সন্ত্রাস দমনে যেমন দেশের মানুষ সবাই একত্রিত হয়েছিল তেমনি এসব অপরাধ দমনে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শহীদুল হকের সভাপতিত্বে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক বক্তৃতা করেন। সিভিল সোসাইটির সদস্যরা জাতিসংঘ নির্যাতনবিরোধী কনভেনশন ও বাংলাদেশে এর পরিপ্রেক্ষিত নিয়ে আলোচনা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৯
টিআর/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।