ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গণপিটুনিতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিবন্ধীদের ক্ষতিপূরণের দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২২ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৯
গণপিটুনিতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিবন্ধীদের ক্ষতিপূরণের দাবি

ঢাকা: গণপিটুনিতে নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ এবং আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও তাদের প্রত্যেককে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ‘প্রতিবন্ধী নাগরিক ঐক্য’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী ও অরাজনৈতিক সংস্থার নেতারা।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে সংগঠনের নেতারা এ দাবি জানান।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির নামে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পিটিয়ে হত্যা ও গুরুতর আহত করার প্রতিবাদে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রতিবন্ধীরা এমনিতেই সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন ও অনেকটা গৃহবন্দি অবস্থায় জীবন-যাপন করেন। এ কারণে তারা শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে অনেক পিছিয়ে রয়েছেন। এর মধ্যে যদি সহিংসতার শিকার হওয়ার আতঙ্ক বিরাজ করে, তাহলে তারা মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন এবং মর্যাদা হারিয়ে অসম্মানজনকভাবে সমাজের বোঝায় পরিণত হবেন। এ কারণে আমরা প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী উদ্বিগ্নবোধ করছি।

দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ১০০ জন প্রতিবন্ধী এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।  

মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করতে আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী, এনজিও প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ সমবেত হন।
 
সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী মো. রেজাউল করিম সিদ্দিকীর (একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী) সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় তৃণমূল প্রতিবন্ধী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হালিম হাসান, ওমেন উইথ ডিজএবিলিটি ফাউন্ডেশনের সভানেত্রী শিরিন আক্তার, সিড-এর সেলফ অ্যাডভোকেট সানজিদ ও জালাল, একসেস ফাউন্ডেশনের লিটন বাড়ৈ, শারীরিক প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংঘের সভাপতি বশির আল হোসাইন ও সম্পাদক আব্দুল জলিল মণ্ডল, আলোর প্রদীপ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি লিয়াকত আলী, প্রতিবন্ধী নারীদের জাতীয় পরিষদের নজরুল ইসলাম, শাপলা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল শেখ, অগ্রপথিক প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সভানেত্রী শ্যামলী রাণী দাস, প্রতিবন্ধী নাগরিক ঐক্য’র প্রতিনিধি ডা. এইচ এম নূরনবী জান্নাত (রুবেল) ও মো. জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) এর গবেষক এম এ মোহিত খান হীরক এবং দৈনিক সংবাদ এর জেষ্ঠ্য সহ-সম্পাদক নাসরিন শওকত।

তথাকথিত ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, সুনামগঞ্জ, মাদারীপুর, বগুড়া, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, পাবনা, নাটোর ও নেত্রকোণা জেলায় ২০ ও ২১ জুলাই মোট ১৫ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে বর্বরোচিতভাবে প্রহার করে গুরুতর জখম করা হয়। এরমধ্যে দু’জন নিহত হন। হতাহত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে আটজন পুরুষ প্রতিবন্ধী ও সাতজন নারী প্রতিবন্ধী। এ ১৫ জন প্রতিবন্ধীর ১৪ জন মানসিক অসুস্থতাজনিত প্রতিবন্ধী ও একজন বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী। তারা প্রতিবন্ধী বলেই জানতেও পারছেন না যে, কেন তারা এ নির্যাতনের শিকার হলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৯
এমএইচ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।