ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

লিটন-রিভা গাঙ্গুলী বৈঠক: নৌ-আকাশ-রেল যোগাযোগ চালুতে মত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫১ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৯
লিটন-রিভা গাঙ্গুলী বৈঠক: নৌ-আকাশ-রেল যোগাযোগ চালুতে মত

রাজশাহী: রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সোমবার (২২ জুলাই) বিকেলে নগর ভবনে মেয়রের দফতরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে যৌথ উদ্যোগে পদ্মা নদী ড্রেজিং করে নদীর নাব্য ফিরিয়ে নৌরুট চালু, ট্রেন ও বিমান যোগাযোগ চালু, পারস্পরিক শিক্ষাবিনিময় এবং রেশম শিল্পের উন্নয়নে আলোচনা হয়।

 

বিকেল ৪টায় নগরভবনে এলে রিভা গাঙ্গুলীকে বর্ণিল আয়োজনে স্বাগত জানানো হয়।  

শুরুতে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এরপর মেয়রের দফতরে বৈঠকে বসেন তারা। বৈঠক শেষে নগর ভবনের বঙ্গবন্ধু কর্নার পরিদর্শন করেন ভারতীয় হাইকমিশনার এবং পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিখেন। এর আগে মেয়র লিটন ভারতীয় হাইকমিশনারকে সৌজন্য উপহার দেন। ভারতীয় হাইকমিশনারও মেয়রকে উপহার দেন।

পরে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র ভারতের বাংলাদেশে নিযুক্ত হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাসের সঙ্গে আমার বৈঠক হলো। তিনি ভারত-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে কয়েকটি ক্ষেত্র সম্প্রসারিত করার কথা বলেছেন এবং সেসব ক্ষেত্রে ভারত সরকারকে সম্মত করানোর যতটুকু করার দরকার করবেন জানিয়েছেন। ভারতবর্ষের পশ্চিম বাংলার মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান থেকে গোদাগাড়ীর প্রেমতলী হয়ে রাজশাহী পর্যন্ত নৌ রুটটি অনুমোদিত আছে। সেটা ভারত-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে পুনঃখনন করে সারাবছর নদীর নাব্য বজায় রেখে নৌপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন করা, যেন ভারত থেকে মালামাল আনা যায় এবং যাত্রী আনা-নেওয়া করা যায়।  

মেয়র রাজশাহী থেকে কলকাতা পর্যন্ত ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর ব্যাপারে সহযোগিতা চেয়েছেন জানিয়ে বলেন, এটির ব্যাপারেও হাইকমিশনার ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। আরেকটি হচ্ছে প্লেন চলাচল। রাজশাহীতে হযরত শাহ মখদুম বিমানবন্দরে শিগগির নতুন একটি দ্বিতল টামির্নাল ভবনের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। রানওয়েটি সম্প্রসারিত হওয়ার পরে সেখান থেকে কলকাতা এবং দিল্লি পর্যন্ত বিমান চলাচলের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে গৌহাটি বিমান চালু হয়েছে, এটিও করা যাবে, কোনো সমস্যা নেই।

খায়রুজ্জামান লিটন আরও বলেন, আমাদের বিলুপ্তপ্রায় রেশম শিল্পকে জাগিয়ে তোলার ব্যাপারে ভারত সরকার পুরোপুরি সহযোগিতা এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিতে চায়। তারা চায় এই এলাকায় সিল্কের বিপুল সম্ভাবনা জেগে উঠুক, এক্ষেত্রে তারা সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করবে। এছাড়া শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশ-ভারতের বিনিময়, যেমন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, শিক্ষকদের উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রদান; এক্ষেত্রে ভারত সরকার আরও বেশি করে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) ভারতীয় হাইকমিশনার চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্থলবন্দর দেখতে যাবেন উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আমাদের বাংলাদেশ প্রান্তের চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ এবং ভারত প্রান্তে মালদহের মাহদিপুর- এই দু’টির অবকাঠামোগত মান আরও উন্নত করে সেখানে স্থলবন্দর বড় ক্যাপাসিটি নিয়ে করা যায়, সেই চিন্তাভাবনা হাইকমিশনার করেছেন।

বৈঠককালে রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জিব কুমার ভাটি, সেকেন্ড সেক্রেটারি (ভিসা অ্যান্ড কনসুলার) ভিশাল জ্যোতি দাস, জেএসএ প্রশাসন মনিশ কুমার ত্রিপাঠি, রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, সচিব রেজাউল করিম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহানা আখতার জাহান, মেয়রের একান্ত সচিব আলমগীর কবির, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৯
এসএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।