ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মিন্নির দুই আবেদন নামঞ্জুর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৫ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৯
মিন্নির দুই আবেদন নামঞ্জুর

বরগুনা: রিফাত শরীফ হত্যার প্রধান সাক্ষী ও পরে হত্যা মামলার আসামি আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির দুইটি আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (২২ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে বরগুনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী আবেদন দু’টি প্রত্যাখ্যান করেন।  

আদালতের বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী এজলাসে বসে আবেদনের ব্যাপারে বলেন, মিন্নির জবানবন্দি বাতিলের আবেদন করতে হলে জেলারের কাছে থেকে কাগজপত্র আদালতে আসতে হবে।

তাছাড়া মিন্নির চিকিৎসার বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।  

>>>আরও পড়ুন...মিন্নির জামিন আবেদন নামঞ্জুর

মিন্নির আইনজীবী ও বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারী আসলাম বাংলানিউজকে জানান, মিন্নির জবানবন্দি জোর করে নিয়েছে পুলিশ এবং তিনি খুব অসুস্থ থাকায় তার চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হচ্ছেনা মর্মে দুটি আবেদন করা হয়। আবেদন দুইটি আদালত নামঞ্জুর করেছেন। আদালত যেভাবে বলছেন আমরা সেভাবেই সামনে এগোচ্ছি।

২৬ জুন প্রকাশ্য দিবালোকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডে স্ত্রী মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। পরে বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাতের মৃত্যু হয়। হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড মঙ্গলবার (০২ জুলাই) ভোরে জেলা সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। এরমধ্যে কয়েকজন আসামিও গ্রেফতার হন।
 
পরে ১৬ জুলাই মঙ্গলবার সকালে বরগুনার মাইঠা এলাকার বাবার বাসা থেকে মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বরগুনার পুলিশ লাইনে নিয়ে আসা হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রিফাত হত্যাকাণ্ডে মিন্নির সম্পৃক্ততার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় ওইদিন রাত ৯টার দিকে মিন্নিকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।

পরদিন ১৭ জুলাই বুধবার বিকেলে মিন্নিকে আদালতে হাজির করে সাতদিন রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। বিকেল সোয়া ৩টার দিকে শুনানি শেষে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিরাজুল ইসলাম গাজী পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কিন্তু ওইদিন মিন্নিরপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলো না।
 
রিমান্ডের দ্বিতীয় দিনে ১৯ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে বরগুনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে মিন্নি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
 
গত শুক্রবার এ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে জানিয়েছিলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মিন্নিকে আদালতে তোলা হয়। সেখানে রিফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে মিন্নি জবানবন্দি দেন।  

এ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে মিন্নিসহ ১৩ জন রিফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া এ মামলার দুইজন এখনো রিমান্ডে রয়েছেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।