এদিকে ভাঙনের খবর পেয়ে রোববার (২১ জুলাই) দুপুরে বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ্জামান খানসহ স্থানীয় ব্যক্তিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্থ মোঃ মনির হাওলাদার বলেন, শনিবার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় আমাদের বাড়ির সামনের দুটি পুকুর, কিছু গাছপালা ও বাড়ির সামনের রাস্তাসহ অনেক জমি হঠাৎ করে নদীর মধ্যে ডুবে যায়।
ক্ষতিগ্রস্থ মিজানুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন, এশারত শেখ, আনোয়ার হাওলাদারসহ কয়েকজন বলেন, হঠাৎ ভাঙ্গনে আমাদের জমি ও গাছ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে আমাদের পাঁচটি পরিবারের প্রায় ২৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ভাঙ্গনের ফলে লবন পানি ঢুকে এলাকার জমি চাষাবাদের অযোগ্য হবে বলেও দাবি করেন তারা।
বলইবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান আলী খান বলেন, শুধু গতকাল নয়- এর আগেও একাধিকবার নদী ভাঙনে এই গ্রামের জমি বিলীন হয়েছে। বিভিন্ন সময় নদী ভাঙনে দোনা ও শ্রেণীখালী গ্রামের ৬০ থেকে ৭০ একর জমি বিলীন হয়ে গেছে। লবন পানি ও নদীভাঙন রোধ করতে না পারলে দুই গ্রামের মানুষের জন্য এই এলাকা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। তাই যত দ্রুত সম্ভব এখানে স্থায়ী ও টেকসই বাঁধ নির্মাণ প্রয়োজন।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ্জামান খান বলেন, খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কাজ শুরু হয়েছে। আশা করি দুই-এক দিনের মধ্যেই ওই রাস্তা দিয়ে লোকজন চলাচল করতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৯
এসএসএস/ওএফবি