রোববার (২১ জুলাই) দুপুর ২টায় বেনাপোল চেকপোস্ট প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন থেকে আনসার সদস্যরা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
আটক ছিনতাইকারী বেনাপোল পৌরসভার বড়আচড়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে।
কাস্টমসের নিরাপত্তা সংস্থা আনসার ব্যাটালিয়নের পিসি মাহাবুব হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ওই ছিনতাইকারী গোয়েন্দা কর্মকর্তা সেজে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীর কাছে কত টাকা আসে জানতে চায়। পরে ওই যাত্রীরা টাকা বের করে দেখালে তারা হাত থেকে টাকা নিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় যাত্রী আনসার সদস্যের কাছে অভিযোগ করলে অভিযুক্ত ছিনতাইকারীকে আটক করে পুলিশে তুলে দেওয়া হয়।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, আটক নয়ন দীর্ঘদিন ধরে ইমিগ্রেশন এলাকায় বিভিন্ন সংস্থার পরিচয় দিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করলেও সেখানে কর্তব্যরত ইমিগ্রেশন পুলিশ বিষয়টি এড়িয়ে চলে। এতে তাদের দৌরাত্ম্য বেড়ে চলেছে। পুলিশের কেউ কেউ তার কাছ থেকে সুবিধা নেয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। প্রতিদিন তাদের হাতে কেউ না কেউ সব হারিয়ে নি:স্ব হচ্ছে। এসব ছিনতাইকারীদের মধ্যে- নয়ন, বাবু, কাদের, মাসুম, ছাদ্দাম প্রমুখ আলোচিত।
বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পিন্টু লাল দাস আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, আটকের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা ২২ জুলাই ২০১৯
জেএআর/ওএফবি