রোববার (২১ জুলাই) আসকের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়।
দ্রুততার সঙ্গে এসব ঘটনার তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসক’র পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আগামীতে এ ধরনের প্রবণতা রোধে দ্রুততার সঙ্গে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমসূত্রে জানা গেছে, পদ্মাসেতু নির্মাণে ‘মানুষের মাথা লাগছে’ বলে ছড়িয়ে দেওয়া গুজবকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। এ প্রবণতায় আসক গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আসক মনে করে, হঠাৎ করে মারাত্মক আকার ধারণ করা এসব ঘটনায় জনমনে আতংক, নাগরিক নিরাপত্তায় বিঘ্ন ও সর্বোপরি দেশে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। আসক দৃঢ়ভাবে উল্লেখ করতে চায়, বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতিটি ব্যক্তি নির্দোষ বলে প্রতীয়মান হওয়ার অধিকার রাখে। তাছাড়া সংবিধানে স্পষ্টভাবে প্রতিটি মানুষের আইনি আশ্রয়লাভের অধিকার স্বীকৃত রয়েছে। ’
পুলিশ সদরদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে আসক’র পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ‘ইতোমধ্যে পুলিশ সদরদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গুজবের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বিবৃতিতে গণপিটুনি ফৌজদারি অপরাধ এবং এর সঙ্গে জড়িতদের তদন্তসাপেক্ষে আইনের আওতায় আনা হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা আশা করবো, পুলিশ পরিস্থিতি বিচেনায় সতর্কতা বজায় রাখবে এবং দ্রুততার সঙ্গে সংঘঠিত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করবে। ’
এছাড়া জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে আসক নিজেদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৯
এইচএ/