ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নতুন পরিবার পেলো শিশু জীম

গণ বিশ্ববিদ্যালয় করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৯
নতুন পরিবার পেলো শিশু জীম মিল্টন সমাদ্দার ও মিঠুন হালদার দম্পতির হাতে শিশু জীমকে তুলে দেওয়া হচ্ছে। ছবি: বাংলানিউজ

গণ বিশ্ববিদ্যালয় (সাভার): সাভারে অবস্থিত গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজ (গমেক) হাসপাতালে ফেলা যাওয়া ৭ মাসের প্রতিবন্ধী শিশু জীমের দায়িত্ব নিয়েছেন ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’র চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর মিল্টন সমাদ্দার ও মিঠুন হালদার দম্পতি। 

শনিবার (২০ জুলাই) সেরেব্রাল পালসিতে আক্রান্ত শিশু জীমের দায়িত্ব নেয় ঢাকায় অবস্থিত ওই আশ্রয়কেন্দ্রটি।

ওই দম্পতি বাংলানিউজকে বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রটিতে বর্তমানে দু’জন প্রতিবন্ধী শিশু এবং ৫৯ জন বৃদ্ধ নারী-পুরুষ রয়েছেন।

আমরা ২০১৪ সাল থেকে এ সংগঠনটি পরিচালনা করে আসছি। আমাদের নিজেদের আয়েই এটি পরিচালিত হয়। তবে অনেকেই সহযোগিতা করে থাকেন। শিশুটিকে আমরা আমাদের মেয়ে হিসেবে লালন-পালন করবো।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. মিজানুর রহমান, শিশু রেজিস্ট্রার ডা. মাহবুব জোবায়ের সোহাগ, ডা. এড্রিক বেকার ব্লাড ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অরুপ সরকার প্রমুখ।

হাসপাতালটির পরিচালক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, জীম প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকে কোনো দম্পতি দত্তক নিতে চাচ্ছিল না। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায় পরে ওই দম্পতি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন শিশুটির দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানান। প্রত্যাশা করছি ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রয়কেন্দ্রে শিশুটি ভালো থাকবে।

জানা যায়, শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় গত ২৫ জুন (মঙ্গলবার)। তার বাবার নাম আবুল ও ঠিকানা নয়ারহাট ছাড়া আর কোনো তথ্য দেননি তার ‘মা’। হাসপাতালে ভর্তির সব নিয়মাবলী শেষ হওয়ার আগেই তাকে বেডে রেখে বেরিয়ে যান তিনি।

এরপর বাংলানিউজ গত ১৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) শিশুটিকে নিয়ে ‘৭ মাসের সন্তানকে হাসপাতালে ফেলে গেছেন ‘অভাবী মা’ এই শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত করে। এরপরেই সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ওই প্রতিবেদন দেখে শিশুটিকে দত্তক নিতে আগ্রহী হন সংগঠনটির চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৯
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।