ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জলাবদ্ধতা-নদী দখলমুক্ত করা রাতারাতি সম্ভব নয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৯
জলাবদ্ধতা-নদী দখলমুক্ত করা রাতারাতি সম্ভব নয় সংবাদ সম্মেলন, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা ও নদী দখলমুক্ত করা রাতারাতি সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, অল্প বৃষ্টিতেই যে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এ বিষয়ে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। তবে এ দুর্ভোগ থেকে রাতারাতি মুক্তি পাওয়ার সম্ভব নয়।

কারণ এটা গত ৪০ থেকে ৫০ বছরে হয়েছে। তাই পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে সমন্বিতভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

রোববার (২১ জুলাই) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীসহ ঢাকার চারপাশের নদীর দূষণ ও দখলরোধ এবং নাব্যতা বাড়ানোর জন্য গৃহীত মাস্টারপ্ল্যান অবহিতকরণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, এক সময় সচিবালয়ে হাঁটু পরিমাণ পানি হতো। শন্তিনগরে রিকশা বা গাড়ি সবই ডুবে যেতো। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটেছে। এছাড়া বৃষ্টি হলে গুলশান, তেজগাঁওয়ের মতো জায়গায় আমরা গাড়ি চলাতে পারতাম না। এসব ক্ষেত্রে দৃশ্যমান পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের উল্লেখযোগ্য অর্জন রয়েছে। কিন্তু এখনও লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। আশা করি, আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারবো।

তিনি বলেন, বিভিন্ন শহরে অপরিকল্পিত খাল, কালভার্ট, বাড়িঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এগুলো একদিনের মধ্যে স্থানীয় সরকার বা কোনো মন্ত্রণালয়ের ক্ষেত্রে দখলমুক্ত করা সম্ভব নয়।

মতিঝিল, শান্তিনগরের খালগুলো ভরাট করা হয়েছে। ভরাট করে সমস্ত ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। এখন আমাদের সেখানে কাজ করতে হবে। বাক্স কালভার্ট কোনো ইঞ্জিনিয়ারিং পদ্ধতিতে করা হয়নি। থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ওপেন কালভার্ট করছে। আর আমাদের এখনে বক্স কালভার্ট করে কোটি কোটি টন বালি আর ময়লা দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। এখন ওভার নাইটতো এগুলো হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৯
জিসিজি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।