রোববার (২১ জুলাই) সকালে পুলিশ ময়ুরীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকেই ময়ুরীর স্বামী মাসুদ ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক আছেন।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, প্রায় আট বছর আগে নাটোরের পাটুল গ্রামের আনোয়ারের মেয়ে ময়ুরীর সঙ্গে নন্দীগ্রাম পৌর শহরের ওসমান গণির ছেলে মাসুদের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। মাসুদ দীর্ঘদিন ধরে অন্য নারীর সঙ্গে পরকীয়া, মাদকদ্রব্য সেবনসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। আর স্বামীর এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করে আসছিলেন স্ত্রী ময়ুরী। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২০ জুলাই) রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে ময়ুরীকে তার স্বামী শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর বিষয়টি আত্মহত্যা বলে প্রচারের জন্য তার মরদেহ বাড়ির পাশে একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। এরপর থেকে মাসুদ ও তার পরিবারের সদস্যরা পালাতক রয়েছেন।
ময়ুরীর বাবা আনোয়ার অভিযোগ করেন, জামাইয়ের নানা ধরনের অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করায় মাসুদ প্রায়ই তার মেয়ে ময়ুরীকে নির্যাতন করতেন। বিষয়টি নিয়ে জামাইয়ের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে একাধিকবার সালিশ করেও কোনো কাজ হয়নি। ফলে জামাইয়ের হাতে মেয়েকে জীবন দিতে হলো। এ ঘটনার তিনি সুষ্ঠু বিচার ও কঠোর শাস্তি চান।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির বাংলানিউজকে জানান, ময়ুরীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি শওকত।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৯
এমবিএইচ/আরআইএস/