ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঢাকা-চট্টগ্রামে নদী-দূষণরোধে মাস্টারপ্ল্যান জমা কমিটিতে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৯
ঢাকা-চট্টগ্রামে নদী-দূষণরোধে মাস্টারপ্ল্যান জমা কমিটিতে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত অতিথিরা

ঢাকা: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণ, দখলরোধে এবং নাব্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে কারিগরি সাব কমিটির মাধ্যমে দুটি খসড়া মাস্টারপ্ল্যান মূল কমিটির কাছে জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

রোববার (২১ জুলাই) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীসহ ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণ ও দখলরোধ এবং নাব্য বৃদ্ধির জন্য গৃহীত মাস্টারপ্ল্যান অবহিতকরণে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
            
তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের অর্থসামাজিক উন্নয়নে নদনদী দূষণমুক্ত করা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, উৎপাদনশীলতা ও নাব্য ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকার বদ্ধ পরিকর।

এজন্য প্রণীত খসড়া মাস্টারপ্ল্যান দুটি নিবিড়ভাবে পর্যলোচনা করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বিভাগের স্ব স্ব দায়িত্ব ও করণীয় মাস্টারপ্ল্যানে যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়েছে কিনা সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় বিভাগগুলোর বিস্তারিত মতামত নেওয়া হয়। এ মাস্টারপ্ল্যানে ঢাকার চারপাশের বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী, তুরাগ ও বালু নদী এবং চট্টগ্রামের হালদা নদীর দূষণ ও দখলরোধে এবং নাব্য বৃদ্ধির বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রামের চারপাশের নদীগুলোর দূষণ, দখলরোধ ও নাব্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর শাখা নদী ও খালগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি, বিশ্লেষণসহ বাস্তবিক ধারণা আহরণ এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের চলমান প্রকল্প পর্যালোচনা করে খসড়া মাস্টারপ্ল্যান দুটি প্রস্তুত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণ ও দখলরোধে এবং নাব্য বৃদ্ধির বিষয়ে প্রণীত মাস্টারপ্ল্যানের ২৪টি মূল কার্যক্রম এবং এর আওতায় ১৮০টি সহযোগী কার্যক্রম চিহ্নিত করা হয়েছে। যা ক্র্যাশ প্রোগ্রাম, স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি এ চারটি পদক্ষেপের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। অপরদিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এবং হালদা নদীর দূষণরোধে নাব্য বৃদ্ধি ও অবৈধ দখল রোধে প্রণীত মাস্টারপ্ল্যানে ৪৫টি মূল কার্যক্রম এবং এর আওতায় ১৬৭টি সহযোগী কার্যক্রম চিহ্নিত করে একইভাবে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম, স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি, দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে বলে তিনি জানান।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীসহ ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণ ও দখলরোধ এবং নাব্য বৃদ্ধির জন্য প্রণীত খসড়া মাস্টারপ্ল্যান দুটি প্রধানমন্ত্রী গত ১২ জুলাই অনুমোদন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী কালক্ষেপণ না করে এই মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী কার্যক্রম বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অধিদপ্তর সংস্থা প্রতিষ্ঠানগুলো এ মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী নিজ নিজ কার্যক্রম শুরু করবে। প্রণীত দুটি মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিবকে আহ্বায়ক করে দ্রুত একটি কমিটি গঠন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad