রোববার (২১ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাস্তবায়নাধীন মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্র্যান্ডিং সেমিনারে বক্তৃতা করছিলেন সেতুমন্ত্রী।
ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার অভিযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে একটা মেসেজ দিয়েছেন, তা হলো প্রিয়া সাহার আত্মপক্ষ সমর্থনের আগে তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের মামলা করা যাবে না।
তাছাড়া প্রিয়া সাহার গ্রামের বাড়ির সব কিছু যেন নিরাপদে থাকে সেজন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বলেও জানান সেতুমন্ত্রী।
সরকারের এমন অবস্থান হলেও প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আদালতে দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের বলেন, বিষয়টি নিয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। রাষ্ট্র না চাইলে কেউ রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে পারে না। মামলা দু’টিও গ্রহণযোগ্য হবে না।
প্রিয়া সাহার অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রিয়া সাহা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সেনসেটিভ বিষয়। তিনি কেনইবা এমন বক্তব্য দিলেন, আগে তার বক্তব্য শুনবো; এরপরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার বিরুদ্ধে তড়িঘড়ি করে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। ট্রাম্পের নিকট কেন এমন বক্তব্য দিলেন তা জানতে চাইবো। তার আসল উদ্দেশ্য কী ছিলো এ বিষয়ে জানতে চাইবো। আমার বিশ্বাস তিনি তার স্বদেশে দ্রুতই ফিরে আসবেন।
প্রিয়া সাহার বক্তব্যের আড়ালে কোনো ষড়যন্ত্র চলছে কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, এই বিষয়ে কোনো প্রমাণ পাইনি। প্রিয়া সাহা আগে দেশে ফিরে আসুন, এরপরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাস্তবায়নাধীন মেট্রোরেল প্রকল্প প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নের প্রকল্প। মেট্রোরেল দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে কিছুটা দুর্ভোগ হবে। এই সাময়িক দুর্ভোগ মেনে নেওয়ার জন্য নগরবাসীর নিকট অনুরোধ করছি। মেট্রোরেল একটি নয় মোট ছয়টি। এক থেকে ৬টি মেট্রোরেল ঢাকায় হবে। প্রথমেই আমরা ৬ নম্বর রুটের কাজ শুরু করেছি। এরপরই ১ ও ৫ নম্বর মেট্রোরেল রুটের কাজ শুরু করবো। এই রুটে পাতালরেলও থাকবে। মেট্রোরেল ১ রুটে ১৬ কিলোমিটার ও মেট্রোরেল লাইন-৫-এ ১৩ কিলোমিটার পাতালরেল নির্মিত হবে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে মেট্রোরেল-৬ উদ্বোধন করা হবে। বাকি রুটগুলো ২০৩০ সালের মধ্যেই সম্পন্ন হবে।
নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলাম। এখনো দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারিনি। তাই সভা-সেমিনারে কম যাচ্ছি। মন্ত্রণালয় ও পার্টির কিছু রুটিন-মাফিক কাজ করছি। দু’দিন আগে সিঙ্গাপুরে গিয়ে মেডিকেল চেকআপ করিয়েছি। ডাক্তার আমাকে ওভারলোড নিতে নিষেধ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৯
এমআইএস/এইচএ/