শনিবার (২০ জুলাই) দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে পৃথক পৃথক ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, দুপুরে জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার কুশলনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে খেলার সময় বন্যার পানিতে ডুবে মারা যায় রাহাদ মিয়া (৯) নামে এক শিশু।
দুপুরে সরিষাবাড়ী উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে ইরান (০৩) নামে এক শিশু মারা গেছে। সে সরিষাবাড়ী পৌর এলাকার কামারাবাদ গ্রামের সাখাওয়াতের ছেলে।
বিকেলে জামালপুর সদরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে যায় সিফাত (১৬) নামে সাঁতার না জানা এক কিশোর। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সে সদরের কেন্দুয়া ইউনিয়নের তিতপল্লা গ্রামের ফারুক গাজীর ছেলে।
বকশীগঞ্জে নিজের ঘরের ভেতরে বন্যার পানিতে ভেসে আসা সাপের কামড়ে মারা যান রাজা বাদশা (৫৫) নামে এক কৃষক। তিনি উপজেলা সদর ইউনিয়নের ঝালরচর গ্রামের চান্দু শেখের ছেলে। স্থানীয়রা বলছেন, শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকেলে রাজা সাপের কামড়ের কবলে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জেলাটির মেলান্দহ উপজেলায় বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে জড়িয়ে স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে নাজমা বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূর। তিনি মেলান্দহ সদরের রেখিরপাড়া গ্রামের আব্দুল মতিনের স্ত্রী।
এদিকে, রাতে বকশীগঞ্জের বগারচর ইউনিয়ন থেকে আকলিমা (৩২) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি বগারচর গ্রামের ভ্যানচালক আনোয়ারের স্ত্রী।
বকশীগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিকভাবে এটাকে আত্মহত্যা মনে হলেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০২০ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৯
টিএ