ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আসকের আইনি সহায়তা পাচ্ছেন মিন্নি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৯
আসকের আইনি সহায়তা পাচ্ছেন মিন্নি

বরগুনা: আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ও পরবর্তী কালে মামলার আসামি হওয়া আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে আইনি সহায়তা দিতে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) চার সদস্যের একটি দল ঢাকা থেকে বরগুনায় এসেছে। 

শনিবার (২০ জুলাই) বিকেলে তারা মিন্নির বরগুনার বাসায় এসে পৌঁছেছেন।  

বাংলানিউজকে এমন তথ্য জানিয়েছেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সর্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট)  ট্রাস্টি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না।


 
আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, আসক, ব্লাস্ট, নিজেরা করি ও অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি)  এক সঙ্গে মিন্নিকে আইনি সহায়তা দিবো। তার বাবার সঙ্গে কথা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমাদের আইনজীবীরা বরগুনা রওনা দিয়েছেন।

আসকের চার সদস্য হলেন- আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সিনিয়র স্টাফ ল-ইয়ার অ্যাডভোকেট আবদুর রশীদ, সিনিয়র সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবীর, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান ও তদন্তকারী হাসিবুর রহমান।

অ্যাডভোকেট আবদুর রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা মূলত মিন্নিকে আইনি সহযোগিতা করার জন্য ঢাকা থেকে বরগুনায় এসেছি। আমরা মিন্নির বাবার সঙ্গে কথা বলেছি।  

বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুল বারী আসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ওই চার সদস্যের দলটির সঙ্গে কথা বলেছি। রোববার (২১ জুলাই) আদালতে মিন্নির জামিনের জন্য শুনানি করবো। তারা আমাকে সহযোগিতা করবেন।

২৬ জুন প্রকাশ্য দিবালোকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডে স্ত্রী মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। পরে বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাতের মৃত্যু হয়। হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড মঙ্গলবার (০২ জুলাই) ভোরে জেলা সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নয়ন নিহত হন। এর মধ্যে কয়েকজন আসামিও গ্রেফতার হন।
 
পরে  ১৬ জুলাই মঙ্গলবার সকালে বরগুনার মাইঠা এলাকার বাবার বাসা থেকে মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বরগুনার পুলিশ লাইনে নিয়ে আসা হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রিফাত হত্যাকাণ্ডে মিন্নির সম্পৃক্ততার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় ওইদিন রাত ৯টার দিকে মিন্নিকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
 
পরদিন ১৭ জুলাই বুধবার বিকেলে মিন্নিকে আদালতে হাজির করে সাতদিন রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। বিকেল সোয়া ৩টার দিকে শুনানি শেষে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিরাজুল ইসলাম গাজী ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  কিন্তু ওইদিন মিন্নিরপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলো না।
 
রিমাণ্ডের দ্বিতীয় দিনে ১৯ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে বরগুনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে মিন্নি স্বীকারোক্তিমূলক  জবানবন্দি দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
 
এ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে শুক্রবার জানিয়েছিলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মিন্নিকে আদালতে তোলা হয়। সেখানে মিন্নি রিফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।  
 
এ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে মিন্নিসহ ১৩ জন রিফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া এ মামলার দুইজন এখনো রিমান্ডে রয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৯
ইএস/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad