ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গাইবান্ধায় পানি কমলেও কমেনি দুর্ভোগ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০২ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৯
গাইবান্ধায় পানি কমলেও কমেনি দুর্ভোগ  পানিতে তলিয়ে গেছে শহর। ছবি: বাংলানিউজ

গাইবান্ধা: সপ্তাহের বেশি সময় পর গাইবান্ধার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে দুর্ভোগ এখনও কমেনি। জেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল ছাড়াও পানিতে তলিয়ে আছে গাইবান্ধা শহর। বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ভোগান্তির সীমা নেই বানবাসী মানুষের।

শনিবার (২০ জুলাই) দুপুরে নদ-নদীর পানি কমার বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান।

তিনি জানান, গাইবান্ধায় গত ১২ ঘণ্টায় ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৭ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ১৩২ সেন্টিমিটার, শহরের ব্রিজরোড পয়েন্টে ঘাঘট নদীর পানি ১২ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৭১ সেন্টিমিটার এবং করতোয়া নদীর পানি কাটাখালী পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার  ওপর দিয়ে বইছে।

শুক্রবার সকাল থেকে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এভাবে পানি কমতে থাকলে দ্রুত বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এদিকে, এবারের বন্যা দীর্ঘ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এতে লক্ষাধিক পরিবারের চার লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। চরাঞ্চলের পাশাপাশি এবার তলিয়ে গেছে গাইবান্ধা শহর। গাইবান্ধা পৌর এলাকায় ২০টি আশ্রয়কেন্দ্রে সাড়ে চার হাজার বন্যার্ত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। বাকি বন্যার্ত মানুষের অধিকাংশই অবস্থান নিয়েছেন বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে। প্রতি বছর বন্যার সময় চরাঞ্চলের মানুষ গাইবান্ধা শহরে এসে আশ্রয় নিত। কিন্তু এবার বাঁধ ধসে শহর তলিয়ে যাওয়ায় সে সুযোগ টুকুও হারিয়েছেন।  

প্রয়োজনীয় খাবার, পানি, ওষুধের স্বল্পতায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ও বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নেওয়া বানভাসী মানুষগুলো।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সড়ক-রেলপথ, তলিয়ে গেছে ফসল,  বিলীন হয়েছে বসতবাড়ি-কৃষি জমি, ভেসে গেছে পুকুর-বিলের মাছ।

গাইবান্ধা কৃষি অধিদপ্তরের উপ পরিচালক এসএম ফেরদৌস বাংলানিউজকে জানান, এবারের বন্যায় ১০ হাজার ৮৩৩ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।

গাইবান্ধা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( রাজস্ব) আলমগীর কবির বাংলানিউজকে জানান, এ পর্যন্ত  নগদ ১৫ লাখ টাকা, এক হাজার ১শ’ মেট্রিক টন চাল, ৫০০ বান্ডিল টিন ও ৫০০ তাঁবু, বিশুদ্ধ পানির দুই হাজার জ্যারিকেনসহ নানা ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা বন্যার্ত মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ