ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

স্বামী হত্যার বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩২ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৯
স্বামী হত্যার বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বাংলানিউজ

নেত্রকোণা: প্রতিপক্ষ শুধু আমার স্বামীকে হত্যাই করেনি অন্ধকার ও অনিশ্চিত করে দিয়েছে আমার শিশু সন্তানদের ভবিষ্যত। হত্যাকারীদের জন্য আমার দুই মেয়ে আনিকা (৩) ও আদিবা (১) আজ পিতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত। 

স্বামী হত্যার বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন শেষে বাংলানিউজকে এভাবেই নিজের ও সন্তানদের অসহায়ত্বের ব্যাখ্যা দিয়েছেন কোহিনূর। তিনি কেন্দুয়া উপজেলার চকপাড়া এলাকার বাসিন্দা নিহত শিক্ষক আমিনুল ইসলামনের স্ত্রী।

কোহিনূর জানান, বাড়ির সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে (০২ জুন) বিকেলে পারিবারিক সালিশে বসা হয়। পরে সালিশ চলাকালে প্রতিপক্ষ হাবিবুর, হেলিম ও ছালেক খোকনের মৃত বাবাকে এবং তার পরিবারের লোকজনকে কেন্দ্র করে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ শুরু করেন। এসময় খোকন মৌখিক প্রতিবাদ জানালে হাবিবুর উত্তেজিত হয়ে অন্যান্যদের নিয়ে খোকনের ওপর হামলা চালান। একপর্যায়ে তাদের পিটুনিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান খোকন।

স্বামীর মৃত্যুর পর সন্তানদের নিয়ে বড় অসহায় আর চরম বিপাকে পড়েছেন দাবি করে কোহিনূর বাংলানিউজকে জানান, ‘হামলায় জড়িত প্রত্যেককে হত্যা মামলার আসামি করা হয়। পুলিশ এরই মধ্যে হাবিবুর ও তার ছেলে কৌশিককে গ্রেফতার করেছে। পরে হাবিবুরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠালেও কৌশিককে অজানা কারণে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।  

এছাড়াও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ছামেদুল হক হত্যার পর মনগড়া সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন বলে অভিযোগ করেন কোহিনূর। ’

এদিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই ছামেদুল তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেন। পাশাপাশি তিনি জানান, মামলার পরে নয় আগে কৌশিককে আটক করা হয়েছিল।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- নিহত শিক্ষক খোকনের ভাই তোফাজ্জল, হত্যা মামলার বাদী সিরাজুল, ছোট্ট শিশু আনিকা ও আদিবা।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ