ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ধর্ষণ-হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ কমিটি গড়ার আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৯
ধর্ষণ-হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ কমিটি গড়ার আহ্বান

ঢাকা: সারাদেশে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে, ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে এবং নারী-শিশু ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন বন্ধে প্রতিটি পাড়া, মহল্লা ও প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কিংবা অঞ্চলভিত্তিক প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে নারী সংহতি।

শুক্রবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বরের প্রিন্স প্লাজার সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদী সমাবেশে সংগঠনটি এ আহ্বান জানায়। মূলত ওয়ারীতে সাত বছরের শিশু সায়মাকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে নারী সংহতির মিরপুর অঞ্চল এ আয়োজন করে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি ওয়ারীতে সাত বছরের শিশু সায়মাকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া পুরো দেশেই একের পর এক নারী ও শিশুদের ওপর নৃশংস নিপীড়ন, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটে চলেছে। গত ছয় মাসে দুই হাজার ৮৩ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

‘আগে সহিংসতার ঘটনার সঙ্গে সাধারণত ক্ষমতাসীনেরা যুক্ত থাকলেও এখন সাধারণ ব্যক্তিদেরও এসব ঘটনা ঘটাতে দেখা যাচ্ছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি দেশে নিত্য নতুন সহিংসতার জন্ম দিচ্ছে। নিরাপত্তাহীনতা এমন অবস্থায় গেছে যে, কে, কখন, কোথায় সহিংসতার শিকার হবে তা আগে থেকে কেউই বলতে পারেনা। ’  

বক্তারা আরও বলেন, পুরুষরা নারীর শত্রু নয়। কিন্তু যে পুরুষ নারী-শিশুদের ধর্ষণ-নিপীড়ন করে হত্যা করে, সে কারও বন্ধু হতে পারে না। একটি ছেলেশিশু শৈশব থেকেই পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, মিডিয়া, চলচ্চিত্র এবং সংস্কৃতির মাধ্যমে নারীকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে চিনতে শিখে। এটি দেখে বড় হওয়ার কারণেই সে ধর্ষক হয়ে ওঠে।  

‘সায়মার ধর্ষক হারুনকে আমরা রাতারাতি গ্রেফতার হতে দেখেছি। হয়তো তার বিচার হবে, শাস্তিও হবে। তবে কেবল শাস্তি নিশ্চিত হলেই ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন বন্ধ হবেনা। এ কারণে আমরা সারাদেশে নারী-শিশু ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও হত্যা বন্ধে প্রতিটি পাড়া, মহল্লা ও প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কিংবা অঞ্চলভিত্তিক প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।

নারী সংহতি মিরপুর অঞ্চলের আহ্বায়ক মুন্নি মৃ’র সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- মিরপুর অঞ্চলের সদস্য জেরিন সেতু, সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কানিজ ফাতেমা, সুলেখা রহমান, সুমনা, সমগীতের সদস্য কাজী জোবায়দা আক্তার ও তফাজ্জল হোসেনসহ আমাদের পাঠশালা নামক কর্মজীবী স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৯
এমএএম/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।