এছাড়াও নদী তীরবর্তী অঞ্চলগুলোতে ভাঙনের শঙ্কাও রয়েছে। তবে এসব আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে শহরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) গভীর রাতে যমুনা নদীর শহর রক্ষা বাঁধের হেড টি পয়েন্ট এলাকায় কিছুটা দেবে গিয়ে দু’টি ব্লকের মাঝখানে ফাটল দেখা দেয়। নদীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওই এলাকায় সবসময় তীব্র স্রোত থাকে। সৃষ্ট ফাটলের পরিধি বেড়ে যেকোন মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধটি কেপিআইভুক্ত এলাকা। এ বাঁধটি রক্ষণাবেক্ষণ করা আমাদের রুটিন ওয়ার্ক। হার্ডপয়েন্ট এলাকায় যমুনার প্রবল স্রোত থাকায় বাঁধের লাঞ্চিং এপ্রোনে গিয়ে আঘাত করে। এতে দু’টি ব্লকের মাঝখানে একটি গ্যাপ সৃষ্টি হয়েছিল। এ কারণে সকাল থেকেই সেখানে সিসি ব্লক ডাম্পিং করা হচ্ছে। তবে এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই।
এদিকে শুক্রবার (১৯ জুলাই) দুপুরের দিকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী (ডিজাইন) মোতাহার হোসেন ঘাটাইল সেনানিবাসের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহম্মেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, যেকোন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আমাদের সব সরঞ্জামাদি প্রস্তুত রয়েছে। বাঁধের কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক সংস্কার কাজ শুরু করা হবে। এটি নিয়ে সিরাজগঞ্জবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহবান জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ১৯ জুলাই, ২০১৯
আরএ