ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘দুই মায়ের কোল খালি করে কবরবাসী হইলি তোরা’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৯
‘দুই মায়ের কোল খালি করে কবরবাসী হইলি তোরা’

বরগুনা: ‘আমার পুত্রবধূ আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির কারণে আজ কতগুলো পরিবার জ্বলছে। দুই মায়ের বুক খালি হয়েছে। কতদিন বলেছি তোরা বন্ধুত্ব আবার জোড়া লাগিয়ে বিবেধ ভুলে জীবনযাপন শুরু কর। কিন্তু আজ বিপরীত হয়ে দুই মায়ের কোল খালি করে কবরবাসী হইলি তোরা।’

শুক্রবার (১৯ জুলাই) দুপুরে বরগুনা সরকারি কলেজের পেছনে নিজের বাড়িতে বসে আক্ষেপের সঙ্গে বাংলানিউজকে কথাগুলো বলেছিলেন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত নয়ন বন্ডের মা সাহিদা বেগম।

>>আরও পড়ুন...‘মোবাইল ছিনতাইয়ের জেরে’ রিফাত খুন!

জানা যায়, রিফাত শরীফ এবং নয়ন বন্ড দু’জন খুব কাছের বন্ধু ছিলেন।

তারা একই গ্রুপ ‘০০৭ বন্ড’-এর সদস্য ছিলো। তাদের দুজনের প্রথম ঝামেলা শুরু হয় ‘০০৭ বন্ড’ গ্রুপের প্রধান থাকবে কে তা নিয়ে। এরপর ওই গ্রুপে নয়নের সদস্য বেশি হওয়ায় রিফাত নয়নের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিন্ন করে নতুন এক বাহিনীতে যোগ দেয়। পরে রিফাত আরেকটি ছিনতাই গ্রুপ তৈরি করে। যেটার নিয়ন্ত্রণ করতেন রিফাত। আর এ নিয়ে দুজনের মধ্যে প্রায়ই ঝামেলার সৃষ্টি হয়ে মারামারি পর্যন্ত যেতো।

>>আরও পড়ুন...রিফাত হত্যায় মিন্নি জড়িত: পুলিশ সুপার

রিফাত হত্যা মামলার বাদী ও তার বাবা দুলাল শরীফ বাংলানিউজকে বলেন, আমার ছেলে রিফাত মারা যাওয়ার পর শুনেছি নয়ন আর রিফাতের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিলো। এরআগে, কখনো বুঝিনি ওরা দুজন দুজনার শত্রু। তাছাড়া তারা একসময় ভালো বন্ধু ছিল।

>>আরও পড়ুন...রিফাত হত্যা: ঘাতকদের কল লিস্টে মিন্নির মোবাইল নম্বর

বরগুনা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মারুফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, রিফাত হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত কয়েকজনের বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ থাকলেও পুলিশের তদন্তে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মাদকের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।