ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

তিস্তার ভাঙনে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে ধস

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৯
তিস্তার ভাঙনে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে ধস

লালমনিরহাট: কমতে শুরু করেছে তিস্তা নদীর পানি। গত টানা আটদিনের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির সঙ্গে বেড়েছে ভাঙন। লালমনিরহাটে তিস্তার তীরে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ স্পারে ধসে পড়েছে সিসি ব্লক। 

বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে থেকে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে বাঁধরক্ষার চেষ্টা করছে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

স্থানীয়রা জানান, তিস্তার ভাঙন থেকে লালমনিরহাট সদর ও আদিতমারী উপজেলাকে রক্ষা করতে ২০০৪ সালে আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্দ্ধনে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ স্পার-২ নির্মাণ করে পাউবো।

গত সপ্তাহব্যাপী বন্যা শেষে তিস্তার পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় তিস্তাপাড়ে দেখা দিয়েছে ভাঙন। বুধবার বিকেল থেকে হঠাৎ তিস্তার ভাঙনে বাঁধটির মাটির শ্যাংকের ১০ মিটার এলাকার সিসি ব্লক স্রোতে বসে গিয়ে বাঁধে ভাঙন শুরু হয়।  

স্থানীয়দের সহযোগিতায় অস্থায়ী জরুরি প্রতিরক্ষা ও আপদকালীন বরাদ্দ থেকে জিও ব্যাগ ফেলে বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা করছে পাউবো। এদিকে, একই বাঁধের আরসিসি পার্টেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। পানির তোড়ে বসে গেছে শিট প্লেট। ফলে আরসিসি পার্টের নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে মারাত্বক ঝুঁকিতে রয়েছে আরসিসি পার্ট। যেকোনো মুহূর্তে বাঁধের সামনের অংশের আরসিসি পার্ট ভেসে গিয়ে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হতে পারে বলে শঙ্কা স্থানীয়দের।

বাঁধটির বাসিন্দা মুকুল ও আনেচ আলী বাংলানিউজকে বলেন, হঠাৎ ভাঙন দেখা দেওয়ায় বাঁধের সিসি ব্লকগুলো মুহূর্তে ভেসে গেছে। বাঁধের একটি দোকান ও বাড়ি ধসে পড়ে ভেসে গেছে। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত পাউবোর জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করা হয়েছে। তবে বাঁধের সামনের অংশে আরসিসি পার্টের নিচে স্রোত প্রবাহিত হচ্ছে। যা মেরামত করা হয়নি। এটা ভেসে গেলে ভাঙনের মুখে পড়বে কয়েক হাজার পরিবার। আর তাই শিগগিরই এটা মেরামতের দাবি জানাচ্ছি।
বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ স্পারে ধসে পড়েছে সিসি ব্লক, বাঁধ রক্ষায় ফেলা হচ্ছে বালুভর্তি জিও ব্যাগ।  ছবি: বাংলানিউজ
গোবর্দ্ধন স্পারবাঁধ-২ এর দায়িত্বে থাকা পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী লিটন আলী বাংলানিউজকে বলেন, বাঁধের সিসি ব্লক বসে গেলে জরুরিভাবে ৫০০ জিও ব্যাগ ফেলে রক্ষা করা হচ্ছে ভাঙন। এ বাঁধের জন্য মজুদ রয়েছে আরও দুই হাজার জিও ব্যাগ। প্রয়োজন হলে আরও জিও ব্যাগ নেওয়া হবে। তবে বাঁধে আরসিসি পার্টে শিট প্লেটে সমস্যা হওয়ায় নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানিতে এটা মেরামত করা সম্ভব নয়। তবে প্রয়োজন হলে জিও ব্যাগ দিয়ে এটি রক্ষা করা হবে।  

লালমনিরহাট পাউবোর উপ-বিভাগিয় প্রকৌশলী এটিএম বজলে করিম বাংলানিউজকে বলেন, ভাঙনকবলিত এলাকার বাঁধগুলো রক্ষায় জরুরিভাবে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। আমাদের প্রকৌশলীরা নিরবচ্ছিন্নভাবে নদী তীরবর্তী এলাকায় কাজ করছে। মজুদও রয়েছে পর্যাপ্ত জিও ব্যাগ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৯
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।