ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কোরবানির পশুতে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ: খসরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৯
কোরবানির পশুতে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ: খসরু সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু বলেছেন, কোরবানির পশুতে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। এটা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। আসন্ন ঈদে এক কোটি ৮ লাখ পশুর চাহিদা রয়েছে। আমাদের প্রস্তুত আছে প্রায় এক কোটি ১৮ লাখ। সেই হিসেবে প্রায় ১০ লাখ পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। 

বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ডিসি সম্মেলনের চতুর্থ দিনের সপ্তম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, ষাঁড়, গাভী, মহিষ, ছাগল এবং ভেড়ার গতবছর চাহিদা ছিল এক কোটি ৫ লাখ।

সেই চাহিদা পূরণ করে আমদের উদ্বৃত্ত ছিল। জনসংখ্যা যেভাবে বেড়েছে সেই হিসেবে এক থেকে দেড় শতাংশ বেড়ে এবার আমাদের এক কোটি ৮ লাখের মতো পশু লাগবে। এছাড়া অনেকে বলে ভারত ও মিয়ানমার থেকে এখানে গরু ঢোকে। কিন্তু চার বছরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ৯০ হাজার গরু প্রবেশ করেছে। তাই আমাদের চিন্তার কোনো কারণ নেই।  

বন্যাতে মৎস্য সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এ বিষয়ে ডিসিদের কি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে সব জায়গায় হয়নি। আমরা খোঁজ খবর রাখছি, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা যোগাযোগ রাখছে। দরকার হলে প্রাণী খাদ্য সরবরাহ করবো। অনেক পুকুর ডুবে গেছে। এজন্য ক্ষতিগ্রস্ত মাছ চাষিদের পোনা ও সহযোগিতা দেবো। আমরা চাই না মাছের আকাল হোক। তবে মাছ কিন্তু ভেসে গেছে পানিতে, হয়তো আমাদের চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু এ মাছই বাজারে আসবে। তবে তাদের আমরা সার্বিক সহযোগিতা করবো।

ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণা মৌসুমে ভারতের জেলেরা মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা প্রচলিত কথা। আমাদের কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, র‌্যাবসহ হেলিকাপ্টারে করে চারদিকে টহল দেওয়া হচ্ছে। কোনো জাহাজ বা মাছ ধরার ট্রলার আমাদের সীমানায় এসে মাছ ধরে নিতে পারবে না। ইতোমধ্যে আমরা ২৩টি মাছ ধরার ট্রলার আটক করেছি। ৫১৩ জন জেলেকেও আটক করা হয়েছে। আমাদের সুরক্ষা ব্যবস্থা যথেষ্ট ভালো। তবে দুই একটা আসতে পারে। যেমন তাদের সীমানায় মাছ ধরতে ধরতে আমাদের সীমানায় প্রবেশ করে। তখন তারা বলে ভুলে এসেছে। আমাদের জেলেদেরও এ ধরনের ভুল হয়। তবে এগুলোও বর্তমানে বন্ধ আছে। এছাড়া ভৌগোলিক অবস্থার কথা বিচার বিবেচনায় নিয়ে অনেক গবেষণা করে মাছের প্রজনন মৌসুম নিদিষ্ট করে মাছ ধরা বন্ধ করা হয়েছে। তাই এটা নিয়ে কোনো সংশয় নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯ 
জিসিজি/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।