ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

উবারের গাড়িতে রাজধানীতে মাদকের চালান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৯
উবারের গাড়িতে রাজধানীতে মাদকের চালান র‌্যাবের হাতে আটক চক্রের সদস্যরা

ঢাকা: আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে পণ্যবাহী ট্রাকে করে রাজধানীতে পৌঁছায় মাদকের চালান। আর সেসব মাদকদ্রব্য রাজধানীর ভেতরে পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে অ্যাপসভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান উবারের প্রাইভেটকার।

বুধবার (১৭ জুলাই) দিনাজপুরের বিরামপুর এলাকা থেকে কাঁঠালবোঝাই ট্রাকে করে রাজধানীতে আনা একটি ফেনসিডিলের চালান জব্দ করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১)। এ সময় ট্রাকটিতে তল্লাশি চালিয়ে ৭১৮ বোতল ফেনসিডিলসহ ৮ জনকে আটক করা হয়।

এছাড়া, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাকসহ একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে।

আটকরা হলেন- রাজু আহম্মেদ (৩২), মুন্না (২০), সাগর (১৯), ইউসুফ (৩০), নূর ইসলাম (৩৪), রফিকুল ইসলাম (৫০), মফিজুল ইসলাম (৩১) ও মোস্তাফিজুর (২০)।

র‌্যাব-১ এর স্কোয়াড কমান্ডার (সিপিসি-১) এএসপি কামরুজ্জামান জানান, চক্রটি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করে পণ্যবাহী ট্রাকে করে ঢাকায় মাদকের চালান নিয়ে আসছিল। কিন্তু সেসব ট্রাক ঢাকার অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচল করতে পারে না। তাই ঢাকার বিভিন্ন স্থানে মাদকদ্রব্য পৌঁছাতে চক্রটি প্রাইভেটকার বা সিএনজিচালিত অটোরিকশা ব্যবহার করতো।

আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, আটক ইউসুফ পেশায় একজন উবারের গাড়ি চালক। সে প্রাইভেটকার চালানোর পাশাপাশি দেশের বিভিন্নস্থান থেকে আসা মাদক ঢাকার ভেতরে পরিবহন করতো। ঢাকায় মাদক পরিবহনের জন্য সে চালানপ্রতি ৮-১০ হাজার টাকা পেতো।

রাজু আহম্মেদ পেশায় একজন ট্রাক ড্রাইভার। এর আগে সে ঢাকা-খুলনা রুটে একটি নৈশকোচের ড্রাইভার হিসেবে নিয়োজিত ছিল। মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হওয়ার পর থেকে সে ট্রাক চালানো শুরু করে। দীর্ঘদিন ধরে ট্রাকে মৌসুমি ফসল পরিবহনের আড়ালে রাজধানীতে ফেনসিডিলের চালান নিয়ে আসছিলেন রাজু। চালানপ্রতি ২০-২৫ হাজার টাকা পাওয়া রাজু এর আগে প্রায় ৭টি বড় চালান ঢাকায় নিয়ে আসে। আটক মুন্না ও সাগর তার সহযোগী হিসেবে কাজ করতো।
 
আটক রফিকুল ইসলাম, নূর ইসলাম, মফিজুল ইসলাম এবং মোস্তাফিজুর এই চক্রের অন্যতম সদস্য। তারা মাদকের চালান সংগ্রহ করে ট্রাকে তুলে দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই সেখানে পৌঁছে যায়। এর মধ্যে স্থানীয় মাদক কারবারীদের কাছে পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রি করে আসছিল। চক্রটি এ পর্যন্ত অন্তত ৩০টি মাদকের চালান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সরবারহ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান এএসপি কামরুজ্জামান।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
পিএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad