ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

তীব্র স্রোতে ফেরি চলাচলে বাধা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
তীব্র স্রোতে ফেরি চলাচলে বাধা

মুন্সিগঞ্জ: পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ব্যাহত হচ্ছে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল। বর্তমানে এ নৌরুটে ১৬টি ফেরির মধ্যে দুইটি ফেরি চলছে। ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় পারের অপেক্ষায় রয়েছে সহস্রাধিক গাড়ি।

বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে ছোট ফেরি কাকলী ও রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান এ নৌরুটে চলাচল করছে।

বিআইডাব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. নাসির বাংলানিউজকে বলেন, পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে সকাল থেকে দুইটি ফেরি চলাচল করতে পারছে।

মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) দুপুর থেকে ৬টি ফেরি চলাচল করছিল, পরে রাতে এসব ফেরিও বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিনের পুরনো দুর্বল এসব ফেরি স্রোতের প্রতিকূলে কুলিয়ে উঠতে পারে না। এজন্য ফেরিগুলো মাঝ পদ্মায় গিয়ে আবারও যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে ঘাটে ফিরে আসছে।  

বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. আব্দুল আলিম বাংলানিউজকে জানান, স্রোতের সঙ্গে গাছের ডালসহ অনেক কিছু ফেরির যন্ত্রপাতিতে সমস্যার সৃষ্টি করে। চ্যানেলের প্রবেশ পথ পর্যন্ত ফেরি পৌঁছাতে পারেনা। যেকোনো সময় সব ধরনের ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

বিআইডব্লিউটিএ’র শিমুলিয়া ঘাট পরিদর্শক মো. সোলেমান জানান, লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের থেকে ২০-২৫ মিনিট সময় বেশি লাগছে। তবে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ফেরির যাত্রীরা লঞ্চে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন।

মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো. জহিরুল হক বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাত ১২টা থেকেই ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সকালে পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকটি ফেরি চলাচল শুরু করলেও মাঝ পদ্মায় গিয়ে ৩ ঘণ্টা আটকে থেকে ফিরে আসে। শিমুলিয়া ঘাটের পার্কিং ইয়ার্ড গাড়িতে পরিপূর্ণ। মাওয়া চৌরাস্তা থেকে পদ্মাসেতু টোলপ্লাজা পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ সারি। এমন চলতে থাকলে শ্রীনগর পর্যন্ত গাড়ির সারি পৌঁছাবে। নাব্যতা সংকটের কারণে স্রোত বেশি হচ্ছে।

ড্রেজিং বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল ব্যহত হচ্ছে। একটি বিকল্প চ্যানেল প্রস্তুত করা হচ্ছে। সাতটি ড্রেজারের মাধ্যমে ৩৫ লাখ ঘনমিটার মাটি খনন করা হবে। ঈদের আগে এই খননকাজ শেষ হবে।

শিমুলিয়া ঘাটের যাত্রীরা বাংলানিউজকে জানান, তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি মাঝ পদ্মায় গিয়ে কয়েক ঘণ্টা আটকে থেকে ঘাটে ফিরে আসছে। বেশিরভাগ ফেরি বন্ধ থাকার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিবার এই সময়টিতে ফেরি চলতে সমস্যা দেখা দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।