ঢাকা, শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কুড়িগ্রামে পানিবন্দি সাড়ে ৩ লাখ মানুষ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
কুড়িগ্রামে পানিবন্দি সাড়ে ৩ লাখ মানুষ

কুড়িগ্রাম: ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বাড়া অব্যাহত থাকায় কুড়িগ্রাম জেলার ৫৫টি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জেলার ৯টি উপজেলার ৩৯০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি জীবন-যাপন করছেন। 

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ১৩১ সেন্টিমিটার, ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ১১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

ঘরে ঘরে বন্যার পানি ওঠায় পানিবন্দি মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন।

খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও আশ্রয়ের সংকটে ভুগছেন তারা। চরাঞ্চলে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় বন্যার্তরা স্কুল, বাঁধের রাস্তা, পাকা সড়কসহ উঁচু স্থানে গাদাগাদি করে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।

অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়ায় নাগেশ্বরীর বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মুড়িয়া এলাকায় দুধকুমর নদ তীররক্ষা বাঁধের একাংশ ছিঁড়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার মানুষ। এছাড়াও হুমকিতে রয়েছে সদর উপজেলার বাংটুর ঘাট ও সারডোব তীররক্ষা বাঁধ।

এদিন সকাল থেকে কুড়িগ্রাম-নাগেশ্বরী মহাসড়কের পাটেশ্বরী পুরাতন বাসস্টান্ড, উত্তর কুমরপুর মোড় ও চণ্ডিপুর এলাকায় ধরলা নদীর পানি সড়কের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় রাস্তা রক্ষা এবং দুর্ঘটনা এড়াতে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

কুড়িগ্রাম সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, সড়কটির বেশ কয়েকটি স্থানে বন্যার পানি প্রবাহিত হওয়ায় ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রামে ৩টি পৌরসভাসহ ৭৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫৫টি ইউনিয়নের ৩৯০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় ৭৩ হাজার ৫১১টি পরিবারের প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।  ২২ দশমিক ৩০ কিলোমিটার রাস্তা ও ১৬টি ব্রিজ/কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি ওঠার কারণে ৩৭২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৪৫টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। পানিতে তলিয়ে আছে ৯ হাজার ৯৪২ হেক্টর জমির সবজি, বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসল।

কুড়িগ্রামের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান জানান, বন্যার্তদের সহায়তায় নতুন করে ৩ মেট্রিক টন চাল ও ২ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ৮৫টি মেডিকেল টিম বন্যার্তদের স্বাস্থ্য সেবার জন্য কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
এফইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।