ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মেঘনার ভাঙন রোধে ১৬ কিলোমিটার বাঁধ হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
মেঘনার ভাঙন রোধে ১৬ কিলোমিটার বাঁধ হবে

লক্ষ্মীপুর: বিকল্পধারার মহাসচিব ও লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আবদুল মান্নান বলেছেন, নদী ভাঙন দেখা দিলেই তাৎক্ষণিক প্রতিরোধে কাজ করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হবে। বর্ষা মৌসুম পার হলে কমলনগর রক্ষায় ১৬ কিলোমিটার তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হবে। সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। 

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় কমলনগর উপজেলার চর ফলকন ইউনিয়নের মেঘনা ভাঙন কবলিত লুধূয়া এলাকায় এক সংক্ষিপ্ত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।  

মান্নান বলেন, নদী ভাঙলে আর কিছুই থাকে না।

ভাঙনে মানুষ নিঃস্ব হয়ে যায়। বছরের পর বছর নদী ভাঙতে ভাঙতে কমলনগরের বিস্তীর্ণ জনপদ বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে আর ভাঙতে দেওয়া যাবে না। ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নদী ভাঙন থেকে রক্ষায় সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করবে।  

এর আগে বিকেলে আবদুল মান্নান নদী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় মোবাইলে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয় বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুসার সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত লুধূয়া এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং করতে বলেন।  

লক্ষ্মীপুর জেলার পরিষদের সদস্য স্থানীয় বাসিন্দা মোশারফ হোসেন বাঘার সভাপতিত্বে পথসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুজ্জাহের সাজু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম নুরুল আমিন মাস্টার, কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মর্কতা (ওসি) ইকবাল হোসেন, চর ফলকন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফয়সল আহমেদ রতন ও লিয়াকত মাস্টার প্রমুখ।

সারা বছর ধরে কমলনগরের মেঘনা নদী ভাঙে। বর্ষা মৌসুমে ভাঙন ভয়াবহ রূপ নেয়। গত কয়েক বছরের ভাঙনে হাজার হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। বিলীন হয়ে গেছে ফসলি জমি, রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র। বর্তমানে হুমকির মুখে রয়েছে কমলনগর উপজেলা কমপ্লেক্সসহ বহু সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা।  

বাংলাদেশ সময়: ০৬১৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
এসআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।