ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জামালপুরে যমুনার পানি বিপদসীমার ১৫২ সে. মি. ওপরে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
জামালপুরে যমুনার পানি বিপদসীমার ১৫২ সে. মি. ওপরে

জামালপুর: সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে জামালপুরের যমুনার পানি বিপদসীমার ১৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দিনগত রাত ৮টার দিকে জামালপুরের বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্ট এলাকায় এ পানির স্তর রের্কড করা হয়। এর আগে ২০১৭ সালে এ পয়েন্টে পানির সর্বোচ্চ স্তর ছিল ১৩৪ সেন্টিমিটার।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) আব্দুল মান্নান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
 
এদিকে, অব্যাহত পানি বাড়ার ফলে জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে দেওয়ানগঞ্জের সঙ্গে সারাদেশের রেল ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
 
এবারের বন্যায় জামালপুরের ৭টি উপজেলায় প্রায় ৫০০ কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা পানিতে ডুবে গেছে। বন্যায় দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ী, বকশীগঞ্জ-সাধুরপাড়া, ইসলামপুর-উলিয়া, ইসলামপুর-গুঠাইল ও ইসলামপুর-কুলকান্দি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
 
জেলার ইসলামপুর উপজেলার ৯০ শতাংশ রাস্তা, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ৮০ শতাংশ, সরিষাবাড়ী উপজেলার ৭০ শতাংশ, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৫০ শতাংশ গ্রামীণ রাস্তা এখন পানির নিচে।

বেশিরভাগ কালভার্ট বন্যার পানির তোড়ে ভেঙে গেছে। ছোট ছোট অনেক সেতু পানির তোড়ে দেবে গিয়ে সেগুলো ইতোমধ্যে ব্যবহারের অনোপযোগী হয়ে পড়েছে।

আঞ্চলিক সড়কগুলোতে পানি ওঠায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টি ইউনিয়নের প্রায় লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। উপজেলা সদর থেকে গুঠাইল বাজার, উলিয়া বাজার, শিংভাঙ্গা, কুলকান্দি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

উপজেলার চিনাডুলি ইউনিয়নের দক্ষিণ চিনাডুলি, দেওয়ানপাড়া, ডেবরাইপেচ, বলিয়াদহ, সিংভাঙ্গা, পশ্চিম বামনা, পূর্ববামনা, গিলাবাড়ী, সাপধরী ইউনিয়নের আকন্দপাড়া, পশ্চিম চেঙ্গানিয়া, পূর্ব চেঙ্গানিয়া, ওকাশাড়ীডোবার, কুলকান্দি ইউনিয়নের বেরকুসা, টিনেরচর, সেন্দুরতলী, মিয়াপাড়া, বেলাগাছা ইউনিয়নের কাছিমারচর, দেলীপাড়, গুঠাইল, পাথর্শী ইউনিয়নের শশারিয়াবাড়ী, মোরাদাবাদ, মুকশিমলা, হাড়িয়াবাড়ী পশ্চিম মুজাআটা ও নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের ওলিয়া, রামভদ্রা, কাজলার অঞ্চলগুলোর বিস্তীর্ণ জনপদে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
 
গত চার দিনে পানির তীব্র স্রোতে বেলগাছা ইউনিয়নের মন্নিয়ার চর, বরুল, চিনাডুলী ইউনিয়নের দেওয়ানপাড়া, নোয়াপাড়ার বৌশেরগড়সহ প্রায় শতাধিক বসতভিটা ভেঙে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা আশপাশের উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পশ্চিমাঞ্চলে ৮২টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পানি ওঠায় সেগুলো বন্ধ রয়েছে।  

এছাড়াও পৌর শহরের নতুন নতুন এলাকা চাড়িয়া, মোজাজাল্লা, বেপারিপাড়া প্লাবিত হয়েছে বলে কাউন্সিলর অঙ্কন কর্মকার ও মহন মিয়া জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৩০১ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।