ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ডেঙ্গু নিধনে অনেক চ্যালেঞ্জ: মেয়র আতিকুল 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪০২ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
ডেঙ্গু নিধনে অনেক চ্যালেঞ্জ: মেয়র আতিকুল 

ঢাকা: এডিস মশা নিধনে জনসচেতনতা সৃষ্টি সবচেয়ে জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। 

তিনি বলেছেন, বাসায় কোনোভাবেই পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। পরিষ্কার পানিও তিন দিন জমিয়ে রাখলে এডিস মশার জন্ম হয়।

ডেঙ্গু নিধনে এ মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি জনসচেতনতা সৃষ্টি। তাই আগামী শুক্রবার (১৯ জুলাই) মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জনসচেতনতামূলক র‌্যালি করা হবে।  

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন-ইয়ুথ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-২০১৯ এর উদ্বোধন শেষে মেয়র আতিকুল এসব কথা বলেন।  

ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র বলেন, ডেঙ্গু নিধনে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। সেটা চাইলেই এ মুহূর্তে পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব না। ডেঙ্গু মশা নিধনে বর্তমানে যে ওষুধ দেওয়া হয়, সেটা কেন কার্যকর হচ্ছে না, সেটা নিয়ে আমরা সভা করেছি।  

তিনি বলেন, আমরা নতুন ওষুধ আমদানি করবো। তবে সেটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কারণ কিছু ওষুধ আছে যা দিলে মানুষের ক্ষতি হবে, পরিবেশেরও ক্ষতি হবে। তাই এমন ওষুধ আনতে হবে, যাতে কারো ক্ষতি না হয়।  

মেয়র বলেন, নতুন ওষুধ আনতে হলে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে। সেজন্য সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই বর্তমানে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে জনসচেতনতা জরুরি। জনগণ সচেতন হলে এডিশ মশার জন্ম কমে যাবে।  

তিনি বলেন, মানুষের দেহের জন্য ক্ষতিকর অনেক ওষুধ আছে, যেটা দিলেই মশা মরে যাবে। কিন্তু জনস্বাস্থ্য হুমকিতে পড়বে, তাই আমরা সেটা আনবো না। এজন্য যে ওষুধ আমদানির অনুমতি পাওয়া যাবে, সেটাই আনা হবে।  

মশা নিধন কার্যক্রমে ডিএনসিসির কর্মীদের জবাবদিহিতায় আনতে বিভিন্ন কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, নিয়মিত মশা কর্মীরা যায় কি-না, এটা এখন থেকে জানাতে পারবেন। ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে তাদের নাম দেওয়া হয়েছে, কে কোন এলাকার দায়িত্বে, সেটা ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।  

আতিকুল ইসলাম বলেন, যারা মশার ওষুধ ছিটাতে যাবে, তাদের স্থানীয় বিশিষ্ট সাতজন ব্যক্তির স্বাক্ষর নিয়ে আসতে হবে। তাদের পূর্ণ জবাবদিহিতায় আনতে চাই। খুব শিগগির নতুন ওষুধ আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সভাপতি নেত্রসেন বড়ুয়া, আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের সভাপতি ধর্ম মিত্র মহাতেরো, সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয়, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন-ইয়ুথ সভাপতি কাজল বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ বড়ুয়া প্রমুখ।  

মেয়র বলেন, বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ বাস করে, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। তাই আমরা এখানে এসেছি। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিশ্বে বিরল।  

তিনি বলেন, বৌদ্ধ বিহারের এ জমি প্রধানমন্ত্রী দান করেছেন, এটা প্রমাণ করে বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক। আওয়ামী লীগ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। এ ধারা বজায় রাখতে বৌদ্ধ কমিউনিটি নেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সময়: ০০০২ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
টিএম/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।