ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চওড়া নদী ড্রেজিং করে দু’পাশে আবাদি জমি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৯
চওড়া নদী ড্রেজিং করে দু’পাশে আবাদি জমি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক

ঢাকা: চওড়া নদী ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে দুই পাশে মাটি ফেলে আবাদি জমি তৈরির পাশাপাশি নদীকে ছোট করে নাব্য বাড়ালে বন্যার প্রকোপ কম হবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সচিবালয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত অধিবেশন শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের কথা জানান। এসময় উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম উপস্থিত ছিলেন।

উজান থেকে পানি নেমে বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি প্রতিমন্ত্রী জানালে এর স্থায়ী সমাধান কী তা জানতে চান সাংবাদিকরা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা হলাম ভাটির দেশের লোক। উজান থেকে, পাহাড় থেকে যখন পানি নেমে আসে তখন আমাদের কিছু করার নেই।

‘আমরা যেটা করছি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা হলো, আমাদের নদীগুলো অনেক বড়। চর পড়ে আছে। বর্ষাকালে যখন পানি আসে আমরা ধারণ করতে পারি না। বড় বড় নদীগুলোকে আমরা ড্রেজিং করবো। ড্রেজিং করে নদীর যে পরিমাণ, যেটা ৮-১০ কিলোমিটার চওড়া নদী সেটাকে আমরা ৪-৫ কিলোমিটারে নিয়ে আসবো। এটাকে রেগুলার মেইনটেন্যান্স করবো, ড্রেজিং করবো। ড্রেজিং করা মাটি ৪-৫ কিলোমিটার বাইরে ফেললে ওখানে কাল্টিভেশন ল্যান্ড হবে। ওখানে একটা ফসলের জমি হবে। নদীটা ছোট হয়ে আসলো, নাব্য থাকবে তখন। তখন কিন্তু এটার প্রকোপটা কমে আসবে। ’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা লক্ষ্য করবেন, এটা (বন্যা) সব জায়গায়, এই বর্ষাটা প্রাকৃতিক। এটা হলো ওয়ার্মিং-আপের জন্য পুরো পৃথিবীর আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে। এটা আবহাওয়াজনিত কারণ, এটা আপনি কিছু করতে পারবেন না। যতখানি সম্ভব এটাকে আমাদের ঠেকা দিতে হবে। যেটা আমরা বলেছি ড্রেজিং করে নদীর নাব্য বৃদ্ধি করলে এটা কমে আসবে, যত বেশি আছে সেটা থাকবে না। আমেরিকা ও চায়না বন্যা ঠেকাতে পারেনি। বন্যা যখন হবে, আবহাওয়াজনিত কারণে এটা হচ্ছে। এগুলো আপনাকে বুঝতে হবে এবং লোকজনকে বোঝাতে হবে। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, এমন না যে আমরা বসে আছি। আমাদের লোকজন দিনরাত কাজ করছে, এটা আমরা পারমানেন্টের জন্য, পুরোটাতো ওয়াল দিয়ে দেওয়া যায় না, ওয়াল দিলেও ওয়ালের উপর দিয়ে পানি চলে আসবে।

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, এই বন্যাতে জেলা প্রশাসকেরা তাদের এলাকায় ফিরে গিয়ে তারা তাদের কার্যক্রম শুরু করবেন এবং আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে এই বন্যাকে মোকাবিলা করবো এবং দেশকে অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবো।

তিনি আরো বলেন, এবছরের প্রথম থেকেই আমরা আগাম বন্যার জন্য তাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছিলাম এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো তাদেরকে বলেছিলাম সরেজমিনে গিয়ে দেখা এবং তার জন্য ব্যবস্থা নিয়ে রাখার, যাতে করে বন্যার সময় ভাঙন দেখা না যায়। আমরা যে নির্দেশনা দিয়েছি সেভাবে কাজ হচ্ছে। তারা যেসব কাজের কথা বলেছে আমরা সেগুলো করছি।

বন্যায় বাঁধের ভাঙন নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই বন্যায় আমাদের কিছু করার নেই। এটা আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে যে বৃষ্টি হচ্ছে, বৃষ্টির পানি প্লাবিত হয়ে নেমে আসছে বাংলাদেশে, ধাবিত হচ্ছে পানিগুলো। পানির পরিমাণ এতো বেশি আমাদের নরমাল যে বাঁধ আছে এই বাঁধে কিন্তু ঠেকানো যাবে না। যে জায়গায় আমাদের বাঁধ দেওয়া আছে সেসব জায়গায় আমাদের প্রকৌশলীরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন, যেখানে ভাঙনের প্রবণতা হচ্ছে সেখানে ইমার্জেন্সি কাজ করে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছি। কিছু কিছু জায়গায় ভেঙে গেছে সেখানে পানি কমে গেলে রিপিয়ার করবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।