ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

পঞ্চগড়ে টানা বর্ষণে প্লাবিত নিম্নাঞ্চল, জনজীবনে দুর্ভোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৯
পঞ্চগড়ে টানা বর্ষণে প্লাবিত নিম্নাঞ্চল, জনজীবনে দুর্ভোগ

পঞ্চগড়: মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের সর্ব-উত্তরের প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড়ে গত কয়েকদিন ধরে অবিরাম বর্ষণ চলছে। এর পাশাপাশি উজানের পানি নেমে আসায় জেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে যেমন বিপাকে পড়েছে নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারীরা, তেমনি ভারী বর্ষণের ফলে সর্বস্তরের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে দিন-মজুর-শ্রমিকেরা কাজে যেতে না পারায় পরিবার-পরিজন নিয়ে পড়েছেন দুর্ভোগে। শিক্ষার্থীরাও পড়েছে চরম বিপাকে।

ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পঞ্চগড়ের সবক’টি নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলা শহরের পৌর এলাকার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের পাশাপাশি ধাক্কামারা, কামাত কাজলদিঘী, চাকলাহাট, পঞ্চগড় ইউনিয়ন, তেতুলিয়া উপজেলার শালবাহান, দেবনগর, তীরনইহাট, বাংলাবান্ধা, তীরনইহাট, তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের সন্ন্যাসীপাড়া, গোয়াবাড়ি, ভাদ্রুবাড়ি, রণচন্ডি, বুড়িমুটকী, সরকারিপাড়া, দক্ষিণ কাশিমগঞ্জ ও জামাদার গছ, তিরনইহাট ইউনিয়নের খয়খাটপাড়া, ইসলামপুর, দরগাসিং ও কাশিবাড়ি এবং বোদা উপজেলার পৌরসভা, বেংহারী বনগ্রাম, কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ, মাড়েয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সঙ্গে ঝড়ো হাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে জেলাবাসী।

 

নিম্নাঞ্চলগুলো জলাবদ্ধ হওয়ায় দেখা দিয়েছে পানিবাহিত নানান রোগের প্রাদুর্ভাব। জ্বর, সর্দি-কাশি ও ডায়রিয়ায় অসুস্থ নিম্ন আয়ের লোকজন চিকিৎসাসহ ওষুধের জন্য ভিড় করছে স্থানীয় হাসপাতালে।  

পঞ্চগড়ের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা বাংলানিউজকে জানান, ঝড় ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২ হাজার মানুষকে শুকনো খাবার এবং ৫০ মেট্রিক টন চাল দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ ও টাকা চেয়ে ঢাকায় ফ্যাক্সবার্তা পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, ভারী বর্ষণে নদীর পানি বেড়ে পুকুরও প্লাবিত হওয়ায় অনেকের পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। অন্যদিকে বর্ষা মৌসুমের এ পানি আমন চারা রোপণের জন্য প্রয়োজন হলেও বীজ তলা তৈরিসহ শাক-সবজি, ভুট্টা ও উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, গত ৮ জুলাই (সোমবার) থেকে ১৪ জুলাই (রোববার) পর্যন্ত তেঁতুলিয়ায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ৬৬৬ দশমিক ১ মিলিমিটার।

বাংলাদেশ সময়: ০৪০৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৯
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।