ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভোলায় মেঘনার জোয়ারে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

ছোটন সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৯
ভোলায় মেঘনার জোয়ারে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

ভোলা: ভোলায় মেঘনার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। এতে জেলার তিনটি উপজেলার অন্তত ৩৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখো মানুষ।

দ্বিতীয় দিনের মতো সোমবার (১৫ জুলাই) মেঘনার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পানির উচ্চতা বেড়ে গেছে।

পাহাড়ি ঢল ও পূর্ণিমায় সৃষ্ট জোয়ারে এসব এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

পানিতে তলিয়ে গেছে বসত-ভিটা, ফসলি জমি ও রাস্তা-ঘাটসহ গুরুতত্বপূর্ণ স্থাপনা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষ।

পাউবো জানায়, রোববার (১৪ জুলাই) মেঘনার পানি বিপদসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সোমবার তা আরও ২ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এদিন মেঘনার পানি বিপদসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বাঁধের বাইরের নিচু এলাকায় পানি ঢুকে ডুবে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে তজুমদ্দিন, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলার বাঁধের বাইরের নিচু এলাকা।

পাউবো ডিভিশন-২ নির্বাহী প্রকৌশলী কাওছার আলম বাংলানিউজকে জানান, মনপুরা উপজেলার মনপুরা, হাজিরহাট, উত্তর ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম, তজুমদ্দিন উপজেলার সোনাপুর, চাচড়া ও সাদপুর ইউনিয়নের ১২টি গ্রাম ও চরফ্যাশন উপজেলার মাদ্রাজ ও আসলামপুর ইউনিয়নের চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তবে বাঁধের বাইরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হলেও বাঁধের ভেতরে কোথাও পানি ওঠেনি।

তিনি আরও বলেন, জোয়ারের পানির চাপের কারণে চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে তিন উপজেলার ২৬ কিলোমিটার বাঁধ। ঝুঁকিপূর্ণ কিছু এলাকায় বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে।

এদিকে, জোয়ারের পানিতে ঢালচর, কুকরী-মুকরী ও চরপাতিলাসহ বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৯
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ