ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বন্যায় বিপর্যস্ত জামালপুরের ২ লাখ মানুষ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৯
বন্যায় বিপর্যস্ত জামালপুরের ২ লাখ মানুষ

জামালপুর: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল, অতিবৃষ্টি ও যমুনার পানি বাড়তে থাকায় জামালপুরে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বন্যা। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন জেলার ছয়টি উপজেলার প্রায় দুই লাখ মানুষ।

সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে যমুনার পানি বিপদসীমার ১২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) আব্দুল মান্নান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

তিনি জানান, জামালপুর বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্ট এলাকায় যমুনার পানি বর্তমানে ২০ দশমিক ৭৬ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছে। এ পয়েন্টে স্বাভাবিক পানির স্তর হচ্ছে ১৯ দশমিক ৫০।

এদিকে, অব্যাহত পানি বাড়তে থাকায় জামালপুরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। জেলা দুযোর্গ ও ত্রাণ কর্মকর্তা কার্যালয়ের জরিপ অনুযায়ী এবারের বন্যায় পানিবন্দির সংখ্যা প্রায় এক লাখ ৯৪ হাজার। যদিও বাস্তবতায় এর সংখ্যা অনেক বেশি।  

বন্যাকবলিত হয়েছে পুরো দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যেই দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় ও বাসভবনে পানি ঢুকে পড়েছে। সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ও বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।
দেওয়ানগঞ্জ ইউএনও কার্যালয়।  ছবি: বাংলানিউজ
বন্যার পানিতে জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পৌরসভা এলাকাতেও ঢুকে পড়েছে পানি। এছাড়া দেওয়ানগঞ্জ সদর ইউনিয়নসহ ডাংধরা, চরআমখাওয়া, বাহাদুরাবাদ, চিকাজানী, চুকাইবাড়ী ও হাতিভাঙ্গা ইউনিয়নের প্রায় ৯০ ভাগ পানির নিচে রয়েছে।

সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা, পিংনা, আওনা, ভাটারা ও কামরাবাদ ইউনিয়নে বন্যা দেখা দিয়েছে। এসব এলাকার প্রায় শতভাগ পানির নিচে রয়েছে।
 
বকশীগঞ্জ উপজেলার কামালপুর ও বাট্টাজোড় ইউনিয়নে পাহাড়ি ঢলে প্রায় ১০ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। এছাড়া মেরুরচর, সাধুরপাড়া, নিলক্ষিয়া ও বগারচর ইউনিয়নের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।  

ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দি, বেলগাছা, চিনাডুলী, সাপধরী, নোয়ারপাড়া, পাথর্শী ইউনিয়ন শতভাগ পানি নিচে রয়েছে। মাদারগঞ্জ উপজেলার জোরখালী, চরপাকেরদহ ও বালিজুড়ি ইউনিয়নে বন্যার পানি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এছাড়া মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ও নাংলা ইউনিয়নে ঢুকতে শুরু করেছে বন্যার পানি।  

জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ কর্মকর্তা নায়েব আলী বাংলানিউজকে বলেন, জামালপুরের ছয়টি উপজেলায় এ পর্যন্ত পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন এক লাখ ৯৪ হাজার মানুষ। এসব পানিবন্দি মানুষের মধ্যে ২৯০ মেট্রিক টন চাল, নগদ তিন লাখ টাকা ও ২০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৯
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।