সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল ১১টা থেকে হেমায়েতপুরের বলিয়াপুর এলাকার ওই ডাম্পিং জোন থেকে প্রথমে মাথা ও হাত-পা বিহীন মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এর দুইঘণ্টা পর ওই জায়গা থেকে মাথা-হাত উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে বলিয়াপুর এলাকার ওই ডাম্পিং জোনে পলিথিনে মোড়ানো মাথা ও হাত-পা বিহীন একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশ খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাইদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে দুই-তিন দিন আগে ওই নারীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহটি ছয় টুকরো করা হয়। পরে টুকরোগুলো পলিথিনে মুড়িয়ে ফ্রিজে রাখা হয়েছিল। এরপর মরদেহটি গুম করার উদ্দেশে রাজধানীর অভ্যন্তরে কোনো ময়লার স্তুপে লুকিয়ে রেখে যায় অপরাধীরা। পরবর্তীতে রোববার (১৪ জুলাই) রাতে সিটি কর্পোরেশনের ময়লাবাহী গাড়ির মাধ্যমে পলিথিনে মোড়ানো মরদেহের টুকরোগুলো বলিয়ারপুরের এই ডাম্পিং জোনে চলে আসে।
নিহত ওই নারীর পরিচয় জানার পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৯
এনটি