সেতু থেকে লাফ দিয়ে পড়ার পর তার বন্ধু মিলন তীরে এলেও নিখোঁজ ছিল সামাদ। নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর সোমবার (১৫ জুলাই) তার মরদেহ সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি এলাকা সংলগ্ন সুরমা নদীতে ভেসে উঠে।
মরদেহ উদ্ধার হওয়ার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সামছুদ্দোহা।
মহানগরের জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অকিল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, দুর্ঘটনাস্থল আমাদের থানা এলাকায় হলেও মরদেহ যেখানে ভেসে উঠেছে ওই এলাকাটি বিশ্বনাথ থানার অধীভুক্ত। তাই ওই থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল করে ওই হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক সংলগ্ন তেমুখি এলাকায় সুরমা নদীর শাহজালাল তৃতীয় সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়ে স্লো-মোশনে টিকটক ভিডিও বানানোর জন্য বাজি ধরে তিন বন্ধু। পরিকল্পনা হলো সামাদ ও মিলন ঝাঁপ দেবে। আর ভিডিও করবে অভি। তাই-ই হয়েছিল। কিন্তু ঝাঁপ দেওয়ার পর মিলন সাঁতরে তীরে উঠলেও সামাদ পারেনি।
মৃত আব্দুস সামাদ সিলেটের বাগবাড়ি প্রমুক্ত একতা ৪৪ নং বাসার আসাদ মঞ্জিলের মৃত সামসুল হকের ছেলে।
এ বিষয়ে তীরে ফিরতে পারা চিকিৎসাধীন মিলন ও তার বন্ধু অভি জানায়, এইদিন তারা তিনজনে বাগবাড়ি জামে মসজিদে আসরের নামাজ পড়ে সেতু থেকে স্লো-মোশনে নদীতে পড়ার ভিডিও ধারণের জন্য বাজি ধরে। তারা তিনবন্ধুই নগরীর বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৯
এনইউ/এএটি