সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত কুড়িগ্রামের ২৮৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে, মাঠে ও চলাচলের রাস্তায় পানি ওঠায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। স্কুলগুলোর অনেকগুলোর মাঠ চার-পাঁচ ফুট পানির নিচে তলিয়ে আছে।
বন্যার পানির তীব্র স্রোতের মুখে ভেঙে গেছে জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার শংকর মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নাগেশ্বরী এলাহীর চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে শিক্ষকদের উপস্থিত থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনসাধারণকে বন্যা মোকাবিলায় সহায়তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বন্যার পাশাপাশি নদী ভাঙনে এ পর্যন্ত গৃহহীন হয়েছে এক হাজার ৩১টি পরিবার।
জেলা সদরের হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব, বাংটুর ঘাট, উলিপুরের চর বজরা ও রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের গাবুরহেলান গ্রামে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে রয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলো ২৪ ঘণ্টা নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। এ এলাকাগুলোতে বাঁধ মেরামতে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৯
এফইএস/আরবি/