ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সুনামগঞ্জে বন্যাকবলিত এলাকায় খাবার পানির সংকট

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৯
সুনামগঞ্জে বন্যাকবলিত এলাকায় খাবার পানির সংকট

সুনামগঞ্জ: টানা ছয়দিন বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের ছয়টি উপজেলা প্লাবিত হওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাবে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ ঝুঁকি নিয়েই পান করছেন হাওরের দূষিত পানি। এতে করে পানিবাহিতসহ নানা রোগের আশঙ্কা করছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

 

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলা সদর, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, দোয়ারাবাজার উপজেলায় বন্যার পানিতে প্রায় ১৩ হাজার ১০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ, চাল, শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। কিন্তু পানিবন্দি হাজার হাজার মানুষের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়ে পানিবন্দি মানুষজন বন্যার দূষিত পানি পান করছেন।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পানি বিশুদ্ধ করার জন্য বন্যা কবলিত এলাকায় পানি বিশুদ্ধকরণ ৩০ হাজার ট্যাবলেট বিতরণ করা হবে। এছাড়া যেসব টিউবওয়েল ডুবে গেছে সেগুলো বন্যার পানি নেমে গেলে ব্লিচিং পাওডার দিয়ে ধোয়া হবে।  

শহরের বড়পাড়া সুরমা নদীর পাড় এলাকার হাফসা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, বন্যার পানিতে ঘরের টিউবয়েল তলিয়ে গেছে। পানি কিনে খাওয়ার মতো সামর্থ আমাদের নেই। তাই বাধ্য হয়েই বন্যার পানি খেতে হচ্ছে।  

সদর উপজেলার লালপুর গ্রামের ফারহান মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ঘরে কোমর পানি, টিউবয়েল পানির নিচে। আমাদের খাওয়নের পানির খুব অভাব। যদি সরকার থেকে ফিটকিরি দেওয়া হতো তাহলে পানি খাওয়নের সমস্যা থাকতো না।  

সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফুল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমার এলাকার ৮০ ভাগ মানুষ পানিবন্দি। সরকারি-বেসরকারিভাবে তাদের ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। তবে ত্রাণের তালিকায় বিশুদ্ধ পানি নাই। এজন্য সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। পানি বিশুদ্ধকরণের ট্যাবলেট দেওয়া হলে মানুষ কিছুটা উপকৃত হতো।

সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাস বাংলানিউজকে বলেন, পানিবন্দি মানুষেরা যাতে বন্যার পানি পান না করে সেজন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে। যদি পানি পান করতে হয় তাহলে ফিটকিরি অথবা পানি ফুটিয়ে পান করতে বলা হয়েছে। না হলে পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে।

জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম বাংলানিউজকে বলেন, জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ছয়টি উপজেলায় ৩০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছে। এগুলো উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। বন্যায় প্রায় ১০ হাজার নলকূপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।