ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বেতনের দাবিতে রাজধানীতে পৌর কর্মচারীদের অবস্থান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৯
বেতনের দাবিতে রাজধানীতে পৌর কর্মচারীদের অবস্থান অবস্থান কর্মসূচি। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতার দাবিতে বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে কয়েক হাজার পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী।

তাদের দাবি, তারা ৫ থেকে ৭২ মাস পর্যন্ত বেতন বকেয়া ছাড়াই অফিস করছেন। কোনো সময় পৌর সভার নিজস্ব আয় এলেই কেবল বেতন হয়, না হলে বছরের পুরো সময় চলে বেতন ছাড়া।

যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারিভাবে বেতন দেওয়ার আশ্বাস না আসবে ততক্ষণ তারা ঘরে ফিরবেন না বলে জানান।

রোববার (১৪ জুলাই) বিকেল থেকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সড়ক ও ফুটপাতের ওপর কাগজ এবং তাবু বিছিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন তারা।

অবস্থান ধর্মঘট পালনকারীরা জানান, সরকারি বিধি মোতাবেক তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। অথচ তাদের বেতনের জন্য নির্ভর করতে হয় পৌরসভার নিজস্ব আয়ের ওপর। যদি কোনো পৌরসভার আয় না থাকে তবে তাদের বেতন ছাড়াই চলতে হয়। এভাবে কারো কারো ৫ থেকে ৭২ মাস পর্যন্ত বকেয়া পড়েছে।

তারা বলেন, আমাদের বেতন আসে নিজস্ব আয় থেকে আর ইউনিয়ন পরিষদের কর্মচারীদের বেতনের ৭৫ শতাংশ আসে সরকারি কোষাগার থেকে। একই নিয়মে নিয়োগ অথচ বেতনের ক্ষেত্রে দুই নীতি হতে পারে না। আমাদেরও একই নিয়মে বেতন দিতে হবে।

লাঙ্গলকোট পৌরসভা থেকে আন্দোলনে আসা আব্দুল মান্নান নামে একজন বলেন, আমরা ১৯ মাস ধরে বেতন পায় না। পৌরসভার যা আয় এর চেয়ে ব্যয়ের পরিমাণ বেশি হওয়া বাড়তি কোনো টাকা থাকে না, এ কারণে সব কর্মচারীরা বেতন ছাড়াই চলছি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ম ই তুষার বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের ৩২৮টি পৌরসভার মধ্যে মাত্র ৩৩টি পৌরসভার বেতন-ভাতা নিয়মিত বাকিদের কারো ৭২ মাস পর্যন্ত বকেয়া রয়েছে। এসব পৌরসভার ৩৫ হাজার কর্মচারী-কর্মকর্তাদের পৌর আয়ের দিকে চেয়ে থাকতে হয়। আয় হলে বেতন হয় না হলে বেতন দেওয়া হয় না।

এতো বকেয়া হলে একজন কর্মচারী কীভাবে চলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পৌর কর্মচারীদের সবার বাড়ি পৌর এলাকার মধ্যে। তাদের বাড়ি ভাড়া লাগে না, অন্য কোনো কাজ করে সংসারের খরচ চালাতে হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৯
ইএআর/এএটি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।