এদিকে গত তিনদিন ধরে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনার পানি দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চলের শত শত একর ফসলি জমি। ডুবতে শুরু করেছে এসব অঞ্চলের বাড়ি-ঘর।
রোববার (১৪ জুলাই) সকালে যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ১৩.১৫ মিটার রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিপদসীমার মাত্র ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (ডেঞ্জার লেভেল-১৩.৩৫)। গত তিনদিনে যথাক্রমে ৩০, ৪০ ও ৩৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
সদর উপজেলার মেছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ ও কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম ভূঁইয়া বলেন, গত কয়েকদিন ধরে দ্রুতগতিতে বাড়ছে পানি। ইতোমধ্যেই চরাঞ্চলের ফসলি জমিগুলো সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে। নিচু বাড়িগুলোতেও পানি উঠেতে শুরু করেছে।
অপরদিকে শাহজাদপুর উপজেলার খুকনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুল্লুক চান জানিয়েছেন, এনায়েতপুরের ব্রাহ্মণগাঁতী, আড়কান্দি ও হাটপাচিল নদী তীরবর্তী অঞ্চলগুলোতে বেশ কয়েকদিন ধরেই ভাঙন দেখা দিয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন উপ-সহকারী প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৩৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচে (১৩.১৫ মিটার) দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত তিন দিনে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে পানি। আরও দু’একদিন বাড়তে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৯
আরএ