ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

হবিগঞ্জে পানিবন্দি শতাধিক গ্রামবাসী, চাল-টিন মজুদ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০১ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৯
হবিগঞ্জে পানিবন্দি শতাধিক গ্রামবাসী, চাল-টিন মজুদ

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জে তিনদিনের ভারী বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে শতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার আশঙ্কায় চাল ও টিন মজুদ রেখেছে জেলা প্রশাসন। খোয়াই নদীর পানি কমতে শুরু করলেও সর্বনাশা রূপ ধারণ করছে কুশিয়ার।

হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মতিলাল সৈকত বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় কুশিয়ারা নদীর হবিগঞ্জ অংশে পানি বিপদসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। যা দ্রুত গতিতে বেড়ে চলছে।

অধিকাংশ পানিই ভারত থেকে নেমে আসা। তবে দিনভর বৃষ্টি অব্যাহত থাকলেও খোয়াই নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। শনিবার সন্ধ্যায় যা ছিল বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপরে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিনদিনের বৃষ্টিতে আজমিরীগঞ্জ-মার্কুলী রাস্তার বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে। যে কারণে উপজেলার পিরিজপুর, হিলালপুর, গুচ্ছগ্রাম, বদলপুর, নোয়াগাঁও, পিটুয়ারকান্দি, পাহাড়পুরসহ প্রায় ৭৫ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তবে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাঈমা খন্দকার বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, পানি বৃদ্ধি পেলেও বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন সতর্ক রয়েছে।
নবীগঞ্জের কুশিয়ারা ডাইকের মেরামত কাজ চলছে
এদিকে নবীগঞ্জ উপজেলার উপজেলার বনগাঁও, পারকুল, ঢালার পাড়, ব্রাহ্মণ গ্রাম, পাহাড়পুর, দীঘলবাক, কসবা, কুমারকাঁদা, ফাদুল্লা, রাধাপুর, দুর্গাপুর, জামারগাঁও, পূর্ববাজার কলোনি, চন্ডিপুর, বটপারা, বাউরকাপন, মোকামপারা, রাজনগরসহ আশপাশের আরও অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বিবিয়ানা পাওয়ার প্ল্যান্ট ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

তবে প্ল্যান্টের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের প্ল্যান্ট হাইওয়ে থেকে অনেক উঁচুতে। তাই এখনও পর্যন্ত কোনও ধরণের বিপদের আশঙ্কা করছেন না তারা।
রাস্তা তলিয়ে গিয়ে গ্রামে প্রবেশ করছে কুশিয়ারা নদীর পানি
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌহিদ-বিন হাসান বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি ঘণ্টায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা আশঙ্কা করছি কুশিয়ারা ডাইক ভেঙে যেতে পারে। তাই এটা মেরামত করা হচ্ছে। নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র চালু করার পর পানিবন্দি মানুষ সেখানে আশ্রয় নিয়েছে।

হবিগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া বাংলানিউজকে বলেন, জেলা এবং সব উপজেলায় কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। নদ-নদীর পানি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। ২০০ টন চাল এবং ৯৭১ বান্ডিল টিন মজুদ রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০১০১ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।