ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পঞ্চগড়ে রাবার ড্যামে ছিদ্র, পানিবন্দি হচ্ছে ১০ গ্রাম!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৯
পঞ্চগড়ে রাবার ড্যামে ছিদ্র, পানিবন্দি হচ্ছে ১০ গ্রাম!

পঞ্চগড়: দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পানিতে জেলার তালমা নদীর রাবার ড্যামের ছিদ্রে পানি ঢুকে ফুলে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে করে পানিবন্দি হচ্ছে ১০ গ্রামের প্রায় কয়েকশ পরিবার। 

সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি জানালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রাবার ড্যাম এলাকা পরিদর্শন করেন। কিন্তু পানি না কমা পর্যন্ত তারা কোনো কাজে হাত দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন।

পঞ্চগড় শহর থেকে তিন কিলোমিটার পূর্বে হাফিজাবাদ ইউনিয়নে তালমা নদীর ওপর এ রাবার ড্যামটি অবস্থিত।

জানা যায়, গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে রাবারে পানি ঢুকে ফুলতে থাকে। ফলে নদীর ভাটির দিকে তেমন পানি না থাকলেও উজানের বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ড্যামটির উজানে থাকা হাফিজাবাদ ইউনিয়নের বামনপাড়া, তালমা, ফকিরপাড়া, দলুয়াপাড়া, ভোলাপাড়া, গোফাপাড়া, হঠাৎপাড়া, আমকাঁঠাল ও পঞ্চগড় পৌরসভার চাঁনপাড়া, পূর্বজালাসী এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়বে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুষ্ক মৌসুমে সেচ সুবিধার জন্য ২০০৬-০৭ অর্থবছরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা নদীর তালমা এলাকায় প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে রাবার ড্যামটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। ২০১৪ সালে ড্যামটিতে ত্রুটি দেখা দেয়। পরে ২০১৮ সালে প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ড্যামটি সংস্কার করা হয়। গত বছরের ডিসেম্বরে বোরো মৌসুমের শুরুতে যখন সেচ কার্যক্রম শুরু হবে, ঠিক সেই মুহূর্তে স্থানীয় কয়েকজন রাতের আঁধারে ড্যামটির রাবার এক ফুটের মতো কেটে দেয়। এ বিষয়ে তালমা রাবার ড্যাম পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির নেতারা জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেন।  

পরে রাবারের আরও কয়েক স্থানে ছিদ্র হয়ে যায়। পরবর্তীতে এটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এ রাবার ড্যামের রাবার কৃত্রিম বাতাস দিয়ে ফুলিয়ে নদীর উজানে পানি সংরক্ষণ করে শুষ্ক মৌসুমে সেচ কাজে ব্যবহার করা হয়।

পঞ্চগড় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুর রহমান মণ্ডল বাংলানিউজকে বলেন, রাবারটির বিভিন্ন স্থানে ছিদ্র থাকায় পানি ঢুকে ফুলে গেছে। পানি কমে না আসা পর্যন্ত আমাদের এ মুহূর্তে করার কিছুই নেই। ড্যাম পরিদর্শন করে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

হাফিজাবাদ এলাকার আজিজার বক্কর ও সিদ্দিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, পানি না কমা পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ নাকি কিছু করতে পারবেন না। তবে কি আমাদের সবকিছু পানিতে তলিয়ে যাওয়ার অপেক্ষা করবো আমরা।  

কর্তৃপক্ষকে দ্রুত কাজ করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তারা।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।