ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত মিস্ত্রিরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৯
নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত মিস্ত্রিরা

বারহাট্টা (নেত্রকোণা) থেকে ফিরে: চারিদিকে থৈ থৈ পানি। এখন ফার্নিচারের কাজ নিয়ে ভাবার সময় নেই। চাহিদা অনুযায়ী বর্তমানে নৌকা তৈরির সময়। এজন্য রাত-দিন নৌকা তৈরি করছি। এতে আমাদের ব্যবসা হচ্ছে আবার মানুষেরও হচ্ছে উপকার।

কথাগুলো বাংলানিউজকে বলছিলেন নেত্রকোণা বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ফকিরের মার্কেটের বিভিন্ন দোকানের মিস্ত্রি রিপন সূত্রধর, নিরঞ্জন সূত্রধর, ধনু বিশ্বাস ও মো. জামিম।

তারা বাংলানিউজকে জানায়, প্রত্যেকটি দোকানে প্রতিদিন তিন থেকে চারটি নৌকা তৈরি হচ্ছে।

ডিঙ্গি ছাড়া বড় নৌকা হলে তৈরি করতে সময় একটু বেশি প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে নৌকা তৈরির সংখ্যা কমে যায় তখন। আকার ভেদে ৩-১০ হাজার টাকার মধ্যে নৌকা তৈরি করা হয়।  

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বারহাট্টাবাসীর পাশাপাশি আশেপাশের উপজেলা ও ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ নৌকা কিনতে ভিড় করছে দোকানে। কারো অর্ডার ফিরিয়ে না দিয়ে অতিরিক্ত সময় কাজ করে তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে নৌকা।

জানা যায়, জেলার দুর্গাপুর, বারহাট্টা, কলমাকান্দা, আটপাড়া, খালিয়াজুরী, মোহনগঞ্জ ও কেন্দুয়া উপজেলার নিম্মাঞ্চলের কিছু সংখ্যক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাদের একমাত্র ভরসা হয়ে পড়েছে নৌকা।

নেত্রকোণা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে দুর্গাপুরে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক। কলমাকান্দায় অবনতি হলেও বারহাট্টায় অপরিবর্তিত রয়েছে। ১২টি ইউনিয়নের প্রায় দেড় হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ওইসব এলাকার মানুষের জন্য ৫০ মেট্রিক টন চাল ও শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে খোলা হয়েছে মেডিকেল টিম।

এছাড়া, কলমাকান্দা ও দুর্গাপুরে খোলা হয়েছে সাতটি আশ্রয় কেন্দ্র। এরমধ্যে- দুর্গাপুরে রয়েছে তিনটি ও কলমাকান্দায় চারটি। তিন উপজেলায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে শতাধিক বিদ্যালয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।