ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বন্যা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রেড ক্রিসেন্ট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৯
বন্যা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রেড ক্রিসেন্ট বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করছেন রেড ক্রিসেন্টের কর্মীরা

ঢাকা: দেশের উত্তর, পূর্ব এবং মধ্যাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের জন্য কাজ করছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। আকস্মিক এ বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্ততিও রয়েছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির। ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।

শনিবার (১৩ জুলাই) সোসাইটির কনফারেন্স রুমে বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও করণীয় ঠিক করতে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে নিজেদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানায় রেড ক্রিসেন্ট।

 

সভায় জানানো হয়, কন্ট্রোল রুমের পাশাপাশি প্রস্তুত রাখা হয়েছে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স টিম (এনডিআরটি), ন্যাশনাল ডিজাস্টার ওয়াটসন রেসপন্স টিম (এনডিডব্লিউআরটি), ইউনিট ডিজাস্টার রেসপন্স টিমের (ইউডিআরটি) সদস্যসহ ক্ষতিগ্রস্ত জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবকদের। সোসাইটির স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বরত পরিচালক ইকরাম ইলাহী চৌধুরী বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার লক্ষ্যে দু’টি মেডিকেল টিম এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় এর সংখ্যা আরোও বাড়ানো হবে।

ডিজাস্টার রেসপন্স বিভাগের পরিচালক বেলাল হোসেন বলেন, বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহের জন্য খোলা হয়েছে বিডিআরসিএস ‘কন্ট্রোল রুম’। সবধরনের তথ্যের জন্য ফোন করা যাবে +০০৮৮-০২-৯৩৫৫৯৯৫ (সরাসরি), ০১৭২০৯৭৭৮৭৭, এবং পিএবিএক্স ৯৩৩০১৮৮, ৯৩৩০১৮৯, ৯৩৫০৩৯৯ -২৮২ এই নম্বরে।  

প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব মো. ফিরোজ সালাহ্ উদ্দিন। আলোচনায় অংশ নেন সোসাইটির উপমহাসচিব মো. রফিকুল ইসলাম, ডিজাস্টার রেসপন্স বিভাগের পরিচালক বেলাল হোসেনসহ সোসাইটির সব বিভাগের দায়িত্বরত পরিচালক, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ, ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্যা রেড ক্রস ও পার্টনার অব ন্যাশনাল সোসাইটির প্রতিনিধিরা।

সোসাইটির ডিজাস্টার রেসপন্স বিভাগ জানায়, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় মজুদ রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমানে হাইজন কিটস্, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট (ওয়াটার পিউরিফিকেশন ট্যাবলেট), তারপলিন শিট, জেরি-ক্যান, ওরস্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ।  

এছাড়াও দুর্গত মানুষদের নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে মোবাইল ওয়াটার পিউরিফিকেশন প্ল্যান্ট ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় স্থাপন করা হবে। এসব প্ল্যান্টের মাধ্যমে নদী বা জলাশয়ের পানিকে বিশুদ্ধ করে বন্যার্তদের মধ্যে প্রতিনিয়ত নিরাপদ পানি সরবরাহ করা যাবে।

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব মো. ফিরোজ সালাহ্ উদ্দিন বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সর্বক্ষণ প্রস্তুত রয়েছে। বন্যাকালীন এবং বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য জরুরি সাড়া প্রদানকারী টিমসহ সব কর্মকর্তাকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় সোসাইটির সব মুভমেন্ট পার্টনারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।  

যুব ও স্বেচ্ছাসেবক বিভাগ জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে স্বেচ্ছাসেবকরা ইউনিটের সহযোগিতায় শুকনো এবং রান্না খাবার বিতরণ করছে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। এছাড়াও চট্টগ্রামসহ পাবর্ত্য জেলাগুলোতে পাহাড় ধসের কারণে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী জনগণকে সরিয়ে নিতে সর্তকতামূলক প্রচারণা এবং তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবকরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৯
এসএইচএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।