ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

লালপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শ্যুটার মানিক নিহত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৯
লালপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শ্যুটার মানিক নিহত

নাটোর: হত্যা, ছিনতাই, ডাকাতিসহ ডজনেরও বেশি মামলার আসামি মানিকুজ্জামান ওরফে শ্যুটার মানিক (৪৮) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১২ জুলাই) দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে লালপুর উপজেলার গোপালপুরের তোফাকাটা মোড় এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়।  

এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

এরা হলেন, উপ পরিদর্শক (এসআই) রবিউল, কনস্টেবল মাহাবুব ও আমিনুর রহমান। তাদের লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

নিহত মানিকুজ্জামান পাবনা জেলার ঈশ্বরদী পৌর এলাকার পূর্বটেংরী শেরশাহ পাড়ার ইউসুফ আলীর ছেলে।

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বাংলানিউজকে জানান, গত ৫ জুলাই বিকেলে নাটোরের বড়াইগ্রামে কলেজছাত্র আল আমিনকে (২০) গুলি করে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের মামলায় শ্যুটার মানিককে শুক্রবার (১২ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঈশ্বরদীর রূপপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একই সঙ্গে ওই এলাকার একটি বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে কলেজছাত্র আল আমিন হত্যা ও মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেন তিনি। একই সঙ্গে সম্প্রতি লালপুরে ব্যবসায়ী অলোক বাগচিকে হত্যা করে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কথাও স্বীকার করেন।  

এদিকে শুক্রবার (১২ জুলাই) দিনগত রাতে তার স্বীকারোক্তি মতে অস্ত্র উদ্ধার ও সহযোগিদের ধরতে অভিযানে বের ঞয় বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ। রাত সোয়া দুইটার দিকে উপজেলার গোপালপুরের তোফাকাটা মোড়ে পৌঁছালে শ্যুটার মানিকের সহযোগীরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এসময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে গুলিবিদ্ধ হয় মানিক। উভয় পক্ষের গুলিবিনিময়ের একপর্যায়ে মানিকের সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মানিককে উদ্ধার করে লালপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, মানিকের নামে ঈশ্বরদী, লালপুর, বড়াইগ্রামসহ বিভিন্ন থানায় ১৫টির বেশি মামলা রয়েছে। তার সহযোগীদের আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস বাংলানিউজকে বলেন, গত ৫ জুলাই (শুক্রবার) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার নগর ইউনিয়নের মকিমপুর গ্রামের বটতলা এলাকায় কলেজছাত্র আল আমিনকে গুলি করে হত্যার পর মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় বাদী হয়ে ওইদিন তার বাবা অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।  

নিহত আল আমিন ওই গ্রামের সাহাদত হোসেন সাহাদের ছেলে। সে খলিসাডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের এইচএসসির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল।
 
বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৯ 
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।