শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনে ওই শিক্ষককে তার চেম্বারে আটকে রেখে দরজায় তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের আশ্বাস পেয়ে তালা খুলে দেন তারা।
মারধরের অভিযোগ আনা ওই শিক্ষার্থীর নাম সুপ্ত সাহা অনিক। তিনি মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা গেছে। অপরদিকে ওই শিক্ষক হলেন আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এটিএম এনামুল জহির।
ভুক্তভোগী সুপ্ত সাহার অভিযোগ, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সুপ্ত তার বান্ধবীকে নিয়ে ক্যাম্পাসে ঘুরতে বের হন। ক্যাম্পাসের পুরাতন ফোকলোর চত্বরের পুকুর পাড়ে শিক্ষক এনামুল তাদের ডাক দেন। এ সময় তিনি মেয়েটিকে ‘কটূক্তি’ করে কথা বলেন। সুপ্ত এর প্রতিবাদ করায় শিক্ষক এনামুল জহিরের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাকে মারধর করেন শিক্ষক এনামুল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই শিক্ষককে তার চেম্বারে অবরুদ্ধ করে তালা ঝুলিয়ে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিকেল ৫টার দিকে সুপ্ত ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতাকর্মীদের নিয়ে শিক্ষক এনামুলের চেম্বারে আসেন। তখন ওই শিক্ষক তাদের অপমাণ করে বের করে দেন। এর কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী জড়ো হয়ে শিক্ষকের চেম্বারে তালা ঝুলিয়ে সেখানে অবস্থান নেন।
তারা মেয়েটিকে কটূক্তি করা ও শিক্ষার্থীকে মারধরের প্রতিবাদে স্লোগান দিতে থাকেন। এ ঘটনার ঘণ্টাখানেক পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা ঘটনাস্থলে আসেন। পরে প্রক্টরিয়াল বডি বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা তালা খুলে দেন।
এ বিষয়ে শিক্ষক এনামুলের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমি সুপ্তকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা বিষয়টির তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৯
ওএইচ/