জানা যায়, কুষ্টিয়া সুগার মিলের কর্মকর্তা সেতাফুর রহমান তার নিজ নামে একটি বন্দুকের লাইসেন্স করেন। কিছুদিন আগে তিনি মারা গেলে পরিবারের সব সদস্য একমত হয়ে মৃত সেতাফুর রহমানের ছেলে আতিকুর রহমান এলেনের নামে বন্দুকের লাইসেন্স হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নেন।
ঘুষের টাকা না দেওয়ায় কাজ না করে এলেনকে ঘোরাতে থাকেন দিনের পর দিন। ঘুষ ছাড়া কাজ হবে না বিষয়টি স্পষ্ট জানিয়ে দেন আনোয়ার। একপর্যায়ে এলেন বাধ্য হয়ে আনোয়ার হোসেনকে ৯০ হাজার টাকা ঘুষ দেন। ফাইলের কিছু কাজ এগিয়ে এলেনের কাছে আরো অতিরিক্ত ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন আনোয়ার। এলেন আর কোনো টাকা দিতে পারবে না জানালে তার আবেদন ফাইলবন্দি করে রেখে দেন আনোয়ার।
এদিকে বুধবার (১০ জুলাই) ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানালে অফিস-সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আনোয়ার হোসেনকে তাৎক্ষণিক খোকসাতে বদলী করা হয় এবং ঘুষের টাকা ফেরৎ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই কর্মচারী বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) এলেনকে ঘুষের ৯০ হাজার টাকা ফেরত দেন।
ঘুষের টাকা নেয়া ও ফেরত দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে আনোয়ার হোসেন বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে টাকা ফেরৎ দিয়েছি। কিন্তু তিনি তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অন্যসব অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
ভুক্তভোগী এলেন জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আনোয়ার হোসেন আমাকে তার ভাইয়ের কুষ্টিয়া ইসলামী ব্যাংকের থাকা হিসাবের মাধ্যমে ঘুষের ৯০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নামে বেনামে অবৈধ সম্পদ গড়ে তোলা দুর্নীতিবাজ এ কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুদকে মামলা ও অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের সতত্যা পাওয়ায় তাকে শাস্তিমূলকভাবে খোকসায় বদলী করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাকে ঘুষের টাকা ফেরৎ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৯
এসএইচ