মামলা দায়েরের পর প্রধান আসামি ওয়ার্ড মেম্বর মো. কালাম মাদবরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাতে এ ব্যাপারে মনিরের ভাই আনোয়ার হোসেন লৌহজং থানায় মামলা দায়ের করেন।
শুক্রবার (১২ জুলাই) দুপুরে মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, যুবককে গ্রাম্য সালিশে ছ্যাঁকা ও বেত্রাঘাত করার ঘটনায় ছয় জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাতে প্রধান আসামি মেম্বর কালাম মাদবরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
জানা যায়, মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রাম্য সালিশে মনিরকে শাস্তি দেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
মনিরের ভাই আনোয়ার হোসেন বলেন, একটি শিশুকে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগে আমার ভাই মনিরকে কালাম মেম্বরের নেতৃত্বে গ্রাম্য সালিশে অভিযুক্ত করে ২০টি বেত্রাঘাত, সিগারেটের ছয়টি ছ্যাঁকা, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও তিনদিনের মধ্যে গ্রাম ছাড়ার শাস্তি দেওয়া হয়। তাকে কালাম মেম্বরের স’মিলে প্রকাশ্যে ২০টি বেতের আঘাত ও সিগারেটের আগুনে ছয়বার ছ্যাঁকা দেওয়া হয়। এ বিচার মেনে নিয়ে চলে এলে পরে মামলা দায়ের করে মনিরকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) শ্রীনগর উপজেলার কবুতর খোলা গ্রামে সালিশে শাস্তি দেওয়ার ঘটনা ঘটে। মনির লৌহজং উপজেলার যশলদিয়া গ্রামের আমির ঢালীর ছেলে।
জানা যায়, ঘটনার দিন সিয়াম বাড়ির আঙিনায় খেলা করছিল। কিছুক্ষণ পর সিয়ামের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মনির ও হান্নান আইসক্রিম কিনে দেবে বলে তাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল।
শিশু সিয়াম যশলদিয়া গ্রামের নূরবাগ ইসলামিয়া মাদ্রাসার ছাত্র।
বুধবার (৩ জুলাই) রাতে সিয়ামের মা রহিমা বেগম লৌহজং থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করে এবং মনিরকে গ্রেফতার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৯
আরএ