শুক্রবার (১২ জুলাই) দুপুরের পর থেকে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা সকালে ছিল ৯৮ সেন্টিমিটার।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতি ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ যাতে দ্রুত বন্যা থেকে মুক্তি পায় সেজন্য জুমার নামাজের পর জেলার সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে অথবা ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানি এলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
জেলার বিশ্বম্ভপুর জামালগঞ্জ ও তাহিপুর প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মধ্যে শুকনা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। অনেকেই বাড়িতে পানি ওঠায় বাড়ির পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিকি বলনে, বর্তমানে সুরমা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এখন সুরমার পানি বিপদসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যদি টানা বৃষ্টিপাত না হয় তাহলে নদীর পানি আরও কমবে।
জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা পাল বাংলানিউজকে বলেন, নদীর পানি কিছুটা কমেছে। তবে এখনও পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে ৪ হাজার ৩শ’ পরিবার। সব ইউনিয়নে ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া বিশুদ্ধ পানির জন্য সবাইকে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ফিটকিরি দেওয়া হচ্ছে। যাতে সবাই বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৯
আরএ