ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শিক্ষকদের বেতনের অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন বন্ধ দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৯
শিক্ষকদের বেতনের অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন বন্ধ দাবি মানববন্ধনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা উপস্থিত ছিলেন/ছবি- শাকিল

ঢাকা: বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন বন্ধের দাবি জানিয়েছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরাম।

একইসঙ্গে আসন্ন ঈদুল আযহার আগেই সরকারি নিয়মে ঈদ বোনাস দেওয়াসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আয় রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত নিয়ে অবিলম্বে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।  

শুক্রবার (১২ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানায় এমপিওভুক্ত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরাম।

মানববন্ধনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা উপস্থিত ছিলেন।

আন্দোলনরত শিক্ষকরা বলছেন, শিক্ষকদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কেটে নেওয়া শুরু হয়েছে। কেটে নেওয়া এ টাকার কোনো হিসাব শিক্ষক সমাজ জানেন না। এটি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এছাড়া সরকারি অন্যসব কর্মচারীদের মতো না-দিয়ে তাদেরকে ঈদ বোনাস দেওয়া হয় ২৫ শতাংশ। এসব সমস্যা সমাধানে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণের দাবি জানান তারা।  

তারা আরো বলেন, বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা শতভাগ বেতন সরকারিভাবে পেলেও রয়েছে আকাশ ছোঁয়া বেতন বৈষম্য। এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা, সারাজীবনে একটিমাত্র টাইস্কেল তাও বন্ধ রয়েছে। ঈদ বোনাস ২৫ শতাংশের পরিবর্তে সরকারি নিয়মে ঈদ বোনাস দেওয়ার দাবি জানান তারা।

শিক্ষকরা বলেন, তাদের মূল বেতন থেকে কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর ভাতা দেওয়ার জন্য আগে ৬ শতাংশ বেতন কেটে নেওয়া হতো। এখন আমাদের বেতন থেকে ৬ শতাংশের সঙ্গে আরও ৪ শতাংশ যোগ করে মোট ১০ শতাংশ কেটে নেওয়া হচ্ছে। ফলে তাদের বেতন কমে যাচ্ছে। এছাড়া সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর পেনশন দেওয়া হলেও আমাদের তা দেওয়া হয় না। শিক্ষকদের অবসর জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেনশন দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৯ 
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad