ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভারী বর্ষণে ব্রহ্মপুত্র-ধরলা অববাহিকায় বন্যার পদধ্বনি

ফজলে ইলাহী স্বপন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৪ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৯
ভারী বর্ষণে ব্রহ্মপুত্র-ধরলা অববাহিকায় বন্যার পদধ্বনি ধরলার পানিতে প্লাবিত হয়ে যাত্রাপুর হাটের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ছবি: বাংলানিউজ

কুড়িগ্রাম: উজানের পাহাড়ি ঢল আর কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণে কুড়িগ্রামের ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তাসহ সবকয়েকটি নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বাড়ায় বন্যার পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। যেকোনো মুহূর্তে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমা অতিক্রম করা সম্ভাবনার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শুক্রবার (১২ জুলাই) সকাল ৬টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি কুড়িগ্রামের চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার (২৩ দশমিক ৭০), ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ০৯ সেন্টিমিটার (২৬ দশমিক ৫০) নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুড়িগ্রামের নদ-নদী অববাহিকার চর-দ্বীপচরগুলোতে সম্ভাব্য বন্যাবস্থায় নৌ ডাকাতি প্রতিরোধসহ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলার ১১টি থানা পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান।

ইতোমধ্যেই নদ-নদী তীরবর্তী এলাকার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে। চরাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে গ্রামীণ রাস্তাঘাট তলিয়ে যোগাযোগ ব্যাবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে দুর্ভোগে পড়েছে এসব এলাকার মানুষজন। প্লাবিত চরাঞ্চল।  ছবি: বাংলানিউজকুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর হাট সড়কের শুলকুর বাজার এলাকায় ধরলা নদীর পানিতে প্লাবিত হয়ে নির্মাণাধীণ ব্রিজের পাশের বাঁশের সাঁকো তলিয়ে ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপুর হাটের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ওই ব্রিজ এলাকার মানুষজন নৌকায় পার হলেও হাটে পণ্য আনা নেওয়া করতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ব্যাবসায়ী ও ক্রেতা-বিক্রেতারা।

ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সরকার বাংলানিউজকে বলেন, তার ইউনিয়নের চর যাত্রাপুর, চর পার্বতীপুর, চর ভগবতীপুর, ঝুনকার চর, গোয়াইলপুরি, রলাকাটা এলাকায় চারিদিকে পানি থৈ থৈ করছে। চরগুলো প্লাবিত হয়ে নিচু এলাকার অনেক ঘর-বাড়িতে পানি উঠেছে। সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৪৩ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র চিলমারী পয়েন্টে ৪৪ সেন্টিমিটার বেড়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ধরলার সেতু পয়েন্টে ও ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী পয়েন্টে পানি যেকোনো মুহূর্তে বিপদসীমা অতিক্রমের সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রমের সম্ভাবনা নেই। তবে নদ-নদীর পানি বাড়লেও বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৯
এফইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।