বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম বাজেট অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের কিছু সামাজিক অপরাধপ্রবণতা বেড়ে গেছে। শিশুদের উপর পাশবিক অত্যাচার বেড়েছে। একই সঙ্গে কথায় কথায় মানুষ খুন করা, ছোট্ট শিশুদের খুন করা। এটা এখন মিডিয়াও আসছে। একটা ঘটনা যখন মিডিয়ায় নিউজ হয় তখন যেন আরও বেশি বাড়ে। মিডিয়াকে বলবো যারা ধর্ষক তাদের চেহারাটা যেন বারবার দেখায়। যারা ধর্ষক তাদের যেন লজ্জা হয়। আমাদের আইনটা আরো কঠোর করা দরকার। আরো কঠোর ভাবে শাস্তি দেওয়া দরকার। এ ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ কখনও মেনে নেওয়া যায় না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের ঘটনায় আমরা মেয়েরাই কেন শুধু প্রতিবাদ করবো? এখানে পুরুষ সম্প্রদায় যারা আছেন তাদের জন্য এটা লজ্জার বিষয়, যে পুরুষরাই অপরাধটা করে যাচ্ছে। সেজন্য পুরুষ সম্প্রদায়কে আরো বেশি সোচ্চার হতে হবে বলে আমি মনে করি। তবে এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেবো।
আরও পড়ুন>>>প্রকৃত অবস্থা না ভেবেই গ্যাসের দাম নিয়ে আন্দোলন করছেন
সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত করবো সেই লক্ষ্য নিয়ে বাজেট দিয়েছি এবং এগিয়ে যাচ্ছি। বিশ্বের কাছে প্রমাণিত সময় এখন বাংলাদেশের। এখন বিশ্বের কাছে হাত পাততে হয় না। আমরা স্বাবলম্বী হতে চাই, দেশের উন্নয়ন করবো কারো কাছে হাত পেতে নয়, ভিক্ষা করে নয়, আজ সেটা প্রমাণ করতে পেরেছি। আর এক বছর পর মাথাপিছু আয় ২ হাজার ডলারে উন্নীত করতে পারবো। খাদ্যে ভেজাল, পুষ্টি নেই শুনতে হয়। তারপরও গড় আয়ু বাড়ছে, জানি না কেন।
তিনি আরও বলেন, ১০ বছরে ১৪ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়েছি, নার্স নিয়োগ দিয়েছি। শিক্ষার ক্ষেত্রেও ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। ১ লাখ ৮ হাজার ২শ জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছি। প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি শিক্ষার মান উন্নয়নে। এক সময় খাদ্য উৎপাদন হতো ১ কোটি মেট্রিক টন। এখন খাদ্য উৎপাদন করতে পারছি ৪ কোটি মেট্রিক টন। আমাদের সরকার প্রতিটি গ্রামকে শহরে পরিণত করতে চায়। আকাশ, রেল, নৌ-পথ, সড়কপথ সবক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। ৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৯
এসকে/এএ