ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাংলাদেশে বিনিয়োগে লাভবান হবে ব্যবসায়ীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৯
বাংলাদেশে বিনিয়োগে লাভবান হবে ব্যবসায়ীরা বক্তব্য রাখছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি বলেন, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ সরকার উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে একমত। বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত স্থান।

বাংলাদেশ সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। বিনিয়োগের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে বাংলাদেশ সরকার ওয়ান স্টপ সার্ভিন চালু করেছে। এখন দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিনিয়োগকারীরা সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) মালয়েশিয়ার রয়েল চুলান কুয়ালালামপুরে চতুর্থ ‘শোকেস বাংলাদেশ-গো গ্লোবাল’ আলোচনা অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে এবং কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ দূতাবাস, মালয়েশিয়া সাউথ সাউথ অ্যাসোসিয়েশন ও মালয়েশিয়ার এক্সটার্নাল ট্রেড ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনের সহযোগিতায় চতুর্থ বারের মতো এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শিল্প উপমন্ত্রী ড. ওয়াং কিয়াং মিং, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) সভাপতি বেনজির আহমদ, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম, উভয় দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত গতি এগিয়ে যাচ্ছে। এরইমধ্যে দেশে দৃশ্যমান উন্নতি সাধিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। এর অনেকগুলোর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। বিশ্বের অনেক ব্যবসায়ী এরইমধ্যে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে।

গত ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া ১ হাজার ৫৯৫ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বাণিজ্য হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ রফতানি করেছে ২৩২ দশমিক ৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে আমদানি করেছে ১ হাজার ৩৬৩ দশমিক ০৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশ থেকে প্রধানত তৈরি পোশাক,  প্রক্রিয়াজাত খাবার, চামড়া ও চামড়াজাতপণ্য, হিমায়িত চিংড়ি ইত্যাদি রফতানি হয়। মালয়েশিয়ায় হালাল পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এ শোকেস বাংলাদেশ ২০১৯ গ্লোবালের মাধ্যমে বাংলাদেশের হালাল পণ্যসহ অন্যান্য সম্ভাবনাময় পণ্য সম্পর্কে মালয়েশিয়ার ক্রেতাদের অবহিতকরণ, মালয়েশিয়ার আমদানিকারকদের সঙ্গে নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং সম্ভাবনাময় খাতে মালয়েশিয়ার উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করা হচ্ছে, দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ এবং মালয়েশিয়ান শিল্প কারখানা বাংলাদেশে গড়ে তোলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হচ্ছে। এখানে মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, নীতি নির্ধারক ও ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নেন।

এছাড়া বাণিজ্যমন্ত্রী ১২ জুলাই (শুক্রবার) কুয়ালালামপুর অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।  

এরআগে (১০ জুলাই) রাতে মালয়েশিয়ায় ‘শোকেস বাংলাদেশ ২০১৯-গো গ্লোবাল’ এ যোগদানের জন্য ঢাকা ত্যাগ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। আগামী ১৩ জুলাই (শনিবার) বাণিজ্যমন্ত্রী দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৯ 
জিসিজি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।